খাজুরা সংবাদদাতা
যশোরের বাঘারপাড়া ভায়া খাজুরা-কালিগঞ্জ সড়কের অনেক স্থান দেবে গেছে। দেখা দিয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য ফাটল। সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। দূর থেকে সড়কটি সমতল মনে করে চালকেরা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে দেবে যাওয়া জায়গায় আসলে বিপাকে পড়ছেন।

জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন সড়কটি ‘প্রশস্ত ও মজবুতকরণ’ কাজ শেষ হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, যশোর জেলার মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর থেকে বাঘারপাড়া পর্যন্ত কালিগঞ্জ-খাজুরা-রায়পুর সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতকরণসহ ওভারলে কাজ করা হয়। সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৯ কিলোমিটার ৩৬৩ মিটার এবং প্রশস্ত ৫ দশমিক ৫ মিটার। ৪৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৭ হাজার ৬৩৩ টাকা ব্যয়ে যশোরের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিরিয়ারিং লিমিটেড, মইনউদ্দিন (বাঁশি) সড়কটির কাজ করেন। ২০১৯ সালের ২৭ মে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ৩০ জুন সড়কটির কাজ শেষ হয়।

সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের অন্তত ১৫-২০ জায়গায় বিশেষ করে মাঝিয়ালি যাত্রী ছাউনির পাশে, জহুরপুর বাজারের আগে বাঁশতলায়, খদ্দবনগ্রাম রায়পুর মাঠ, ভাতুড়িয়া মোড়, শালবরাট নুর আলীর বাড়ির পাশে, কালীমন্দিরের পাশে এবং বিল জলেশ্বরে ঢোকার জায়গায় সড়ক সবচেয়ে বেশি দেবে গেছে।

এ বিষয় কথা হয় চারটি গ্রামের অন্তত ৮ জনের সাথে। তারা অভিযোগ করেন, এলাকার বেশিরভাগ মাটি বেলে। ইটভাটার ট্রাক এবং বালুবাহী ড্রামট্রাকের ওভারলোডের কারণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাছাড়া পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর থেকে এ সড়ক দিয়েই অসংখ্যা ভারি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলে ঝুঁঁকি কয়েকগুন বেড়ে গেছে।

জহুরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান বলেন, সড়কের অবস্থা ভালো না। সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারি যান চলাচলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে সড়কটির অন্তত ২০ জায়গা দেবে গেছে। অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।

শালবরাট গ্রামের রিপন দেবনাথ বলেন, সড়কের মাঝে অনেক জায়গা দেবে গেছে। দেবে যাওয়া জায়গায় যানবাহন চলাচলের সময় বিকট শব্দের সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পাশে ঘরবাড়ি কেঁপে উঠে। ফেটে যাচ্ছে সড়কের পাশের ঘরবাড়িও।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলো দ্রুত ঠিক করে দেয়া হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version