বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে যশোরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফল মেলা। মঙ্গলবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কার্যালয়ে এই ফল উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই মেলায় বিভিন্ন জাতের দেশি ফলের সমারোহ দেখা যায়। আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদিত নতুন নতুন প্রজাতির ফলও স্থান পেয়েছে মেলায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তার বক্তব্যে তিনি দেশি ফল উৎপাদনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ডলারের বিনিময়ে বিদেশ থেকে ফল আমদানি না করে দেশের উর্বর মাটিতে নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফল উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলের পুষ্টিগুণ বিবেচনা করে ফল খেতে হবে। দেশি ফলে প্রচুর শক্তি আছে এবং দেশি ফল খেলে আমাদের দেশের কৃষক লাভবান হবেন।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সদকায়ে জারিয়ার উত্তম মাধ্যম হচ্ছে গাছ লাগানো। যারা গাছ নষ্ট করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। গাছ আমাদের নিঃস্বার্থ বন্ধু, যে শুধু দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজ করতে পারে। প্রযুক্তি ও আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে দক্ষ হয়ে উঠলে চাকরির পেছনে দৌঁড়ানো লাগবে না। বরং আত্মকর্মসংস্থান তৈরি হবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য যেকোনো একটি কাজে দক্ষ করে গড়ে তোলা উচিত। কৃষিকাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
ফল মেলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, এই মেলার উদ্দেশ্য হলো সবাইকে জানানো। চাষাবাদের সাথে যারা জড়িত তারা মেলায় এসে আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে জানবে এবং স্বল্প মূল্যে গাছের চারা নিতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হক, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, কৃষি বিজ্ঞানী মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন। এই ফল উৎসব আগামী তিন দিনব্যাপি চলবে।