বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ধর্ম মানুষের উপকারের কথা বলে, বিভেদ নয়। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অধিকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। যেখানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার ও বিশ্বাস থাকবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে ২৪ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান ও অষ্টকালীন লীলা কীর্ত্তন অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান এই নামযজ্ঞ। সকল ধর্মে মানুষের উপকারের কথা বলা হয়েছে। অথচ আমরা ধর্মের নামে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করি, মানুষকে বিচার করি।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন হিসেবে তিনি যে অধিকার নিয়ে বসবাস করেন, সনাতন ধর্মের প্রত্যেক মানুষেরও সেই অধিকার রয়েছে। “আমরা বাংলাদেশি” এই রাজনৈতিক ধারণাকে ধারণ করে রাজনীতি করি। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল মানুষকে তাদের সম্পদ বানিয়েছিল এবং বিগত দিনে মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আমরা কেউ কারোর প্রতিপক্ষ বা শত্রু নই। গত ১৬ বছরে মানুষের স্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কারাবরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই দেশ আপনার, আমার, আমাদের সকলের। জাতীয়তাবাদী দল আপনাদের সাথে নিয়েই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। আমরা আপনাদের সংকটে পাশে ছিলাম। আগামীতে নতুন করে যশোর গড়তে আপনাদের সাহায্য, সমর্থন, সহযোগিতা চাই। আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের পাশে পাবেন। দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি এবং দেশ ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি সবাইকে সচেতন থেকে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক অলোক কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত রায়ন চক্রবর্তী, নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির সদস্য সচিব সনৎ কুমার সাহা, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নীলগঞ্জ মহাশ্মাশন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মৃনাল কান্তি, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট যশোরের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন, নির্মল কুমার বিট প্রমুখ।