নড়াইল সংবাদদাতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার নড়াইল ২ আসনের সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ আওয়ামী লীগের ৯০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদককসহ ৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে ৯০ জনসহ আরও ৪শ’ থেকে ৫শ’অজ্ঞাত আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে।
সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্র নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।
রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রাম দা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল। এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।