নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা-রাধানগর সরকারি সড়কের দুপাশ থেকে শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যার আনুমানিক মূল্য২০ লাখ টাকা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইতনার বারপাড়া বনায়ন সমিতির সভাপতি শেখ মাহাতাব উদ্দিন ধলু ও সম্পাদক খন্দকার খালিদুজ্জামান উল্লিখিত সড়কের পাশের গাছ বিক্রি করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ওই সড়কের দুপাশ থেকে মূল্যবান রেইনট্রি, মেহগনি, আকাশমণি, বাবলাসহ অন্যান্য বনজ গাছ কাটা হচ্ছে। আর এসব গাছ কিনেছেন ওই ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের রবিউল ইসলাম (মাস্টার), ইতনা গ্রামের আব্দুর রহমান মোল্যা ও শাহাবুদ্দিন সাবু নামের তিনজন কাঠ ব্যবসায়ী।
কাঠ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনেছেন। বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। ওই কাঠ ব্যবসায়ীদের যে কাগজপত্র আছে, তাতে সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো স্বাক্ষর নেই।
এ ব্যাপারে ইতনার বারপাড়া বনায়ন সমিতির সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন ধলু বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে লিখিত কোনো কাগজপত্র নেই।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ইতনা ইউনিয়নের রাস্তার পাশের যে গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে, সে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ওই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে সামাজিক বন-বিভাগের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এ কাজ সামাজিক বন-বিভাগের কাজ নয়। ইউনিয়ন পরিষদের সাথে ওই আলোচিত সমিতির সাথে একটি চুক্তি আছে এমনটাই তারা জানিয়েছেন। তারা সেই চুক্তিপত্র এখনো দেখাতে পারেনি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর তারা চুক্তিপত্র দেখাতে চেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সে গাছগুলো ইতোমধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং গাছগুলো সরকারি হেফাজতে আছে। রোববার তাদের চুক্তিপত্র অথবা অনুমতিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরিন জাহান সাংবাদিকদের বলেন, গাছকাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। গাছ কাটা বন্ধ করে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা বন-বিভাগের কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুর রশিদ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি বন-বিভাগ অবগত নয়; তবে সরকারি কোনো গাছ কাটতে হলে অবশ্যই বন-বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। তারা যে কাজটি করেছে, তা বেআইনি।
শিরোনাম:
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস
- শীতে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম
- একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
- নিখোঁজের ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
- কৃষ্ণনগরে আরাফাত কোকো স্মৃতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রতনপুর
- পাখির সাথে মানুষের ভালোবাসার গল্প !
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়