বিবি ডেস্ক
সন্তানের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নতুন কারিকুলামে সন্তানদের অভ্যস্ত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আপনার সন্তানদের দক্ষ, যোগ্য মানুষ হওয়ার কথা ভাবুন। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়ে উৎকর্ষ লাভের কথা ভাবুন। একবার ভীষণ প্রতিযোগিতার চিন্তা থেকে বেরিয়ে সহযোগিতার, সহমর্মিতার চর্চার মধ্য দিয়ে, সন্তানের ভালো মানুষ হওয়ার কথা ভাবুন।
৩০ অক্টোবর দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন কারিকুলাম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদেরও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ চলছে। তাদেরও জীবনমান উন্নয়নে সরকার আরও পদক্ষেপ নেবে। কারণ এরও কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজে যাচাই করুন। এ সময় স্বার্থান্বেষী কোনো মহলের ফাঁদে পা না দেওয়ায় অনুরোধ জানান তিনি।
বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে নতুন শিক্ষা আইন পাস হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মেয়াদে শিক্ষা আইন পাস সম্ভব না। পরবর্তী সংসদে শিক্ষা আইন পাস হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে মিথ্যাচার হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে এরা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার লক্ষ্যে বই নিয়ে মিথ্যাচার করেছিল। এরা চায় না, শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে শিখতে, চিন্তা করতে শিখুক, অনুসন্ধিৎসু হোক, মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচিন্তার চর্চা করুক। ওরা চায় মগজ ধোলাইয়ের শিক্ষাই চালু থাকুক।
দীপু মনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের জন্য নতুন কারিকুলাম গ্রহণ করা হয়। নতুন এই কারিকুলাম শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তরের মধ্যে দিয়েই ভবিষ্যতের স্মার্ট শিক্ষার্থীর বুনিয়াদ রচিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের উদ্দেশ্যে, শিক্ষা ব্যবস্থার সকল ধারাকে বিবেচনা করে, প্রথমবারের মতো জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রূপরেখা প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে বিস্তারিত শিক্ষাক্রম, শিখন-শেখানো সামগ্রী এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা এর আগে কখনোই অনুসরণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মাদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।