বেনাপোল সংবাদদাতা
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা সীমান্তের ইছামতি নদীর খলিসাখালি খাল এলাকা থেকে তিন দিন আগে নদীতে নিখোঁজ মশিয়ার রহমান নামে এক সোনা চোরাকারবারির মরদেহ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ।
খুলনা ২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরসিদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ (বুধবার) সকালে সীমান্তের খলিসাখালি খাল এলাকা থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহের শরীরে বাঁধা ৫ কেজি ২শ’ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে তারা। যার বাজার মূল্য ৫কোটি ১০লাখ টাকা বলে জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা। মশিয়ার রহমান গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে একটি স্বর্ণের চালান নিয়ে ইছামতি নদী দিয়ে ভারতের পিপলি সীমান্তে প্রবেশকালে নদীতে ডুবে যায় মশিয়ার। গত ৩ দিন ধরে সীমান্তের ইছামতি নদীতে তার মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুুরিরা ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চেষ্টা চালায়। তবে ভারত অংশে প্রবেশে বিএসএফ বাধা দেয়ার ডুবুরিরা মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ৩ দিন পর গতকাল সকালে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশি খলসিখাল এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।
স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। এদিন দুপুরে বিজিবি সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। একই গ্রামের হাবিবুর রহমান, জামাল হোসেন ও রহিম বক্স নামে তিনজন চোরাকারবারি মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানান স্বজনেরা। তারা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
নিহত মশিয়ারের ছেলে হাছানুজ্জামান বলেন, গত রোববার আব্বা বাসায় দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তারা ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে গেলেও বাবা বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকি। পরে মঙ্গলবার শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। গতকাল মরদেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, নদীতে ভেসে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ চেষ্টা করছে। মরদেহ তল্লাশি করে বিজিবি ৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। উদ্ধারককৃৃত সোনা ট্রেজারিতে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।