সাতমাইল-গোগা সড়কে কাজ বন্ধ করে দিল এলাকাবাসী
শার্শা সংবাদদাতা
শার্শার বাঁগআচড়া ইউনিয়ন এর সাতমাইল- গোগা (ভায়া বসতপুর) সড়কের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
জানা গেছে, শার্শার উপজেলার সাতমাইল-গোগা ১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে বাজেট বরাদ্দ ১৬ কোটি টাকা। এই সড়কের বসতপুর বাজার এলাকায় সিসি সড়ক নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রি দিয়ে ঢালাই দেয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর এলাকাবাসি নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। যদিও কাজ বন্ধ করার একদিন পরই নতুন করে শুরু হয়েছে নির্মাণ।
সরেজমিনে বসতপুর বাজারে কাজের ধরণ দেখতে গিয়ে দেখা যায় ঢালাইয়ে ব্যবহৃত পাথর অনেক পুরাতন এবং ময়লাযুক্ত। সিমেন্ট বালুও নিম্নমানের। এছাড়া পরিমাণমত ব্যবহার করা হচ্ছে না সিমেন্ট। যার ফলে দ্রুতই সড়ক নষ্ট হয়ে যাবে।
সড়ক নির্মান কারী শ্রমিকদের কাছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কারা এবং তারা কোথায় জানতে চাইলে তারা বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের নাম তারা জানে না। তবে একটু আগে এখানে ছিল। আপনাদের দেখে সরে পড়েছে। গতকাল সড়ক নির্মানের কাজ বন্ধ ছিল আজ আবার কেন চালু হলো? এরকম প্রশ্নে তারা জানায়, এলাকার যারা কাজে বাধা দিয়েছিল হয়ত তারা কন্টাক্টরদের কাছ থেকে হাদিয়া পেয়েছে। নইলে সেই পুরাতন সামগ্রী দিয়ে কিভাবে নির্মাণ কাজ চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ মিয়া সফি ও আহম্দেসহ কয়েকজন জানান, এভাবে কাজ চললে কয়েক মাসের মধ্যেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। গতকাল যারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তারা কোথায় জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান তারা এলাকায় খুব প্রভাবশালী।
এ বিষয়ে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও শার্শা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাহারিয়ার মাহমুদ রঞ্জু বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে ওই দফতরের প্রকৌশলীরা এসব দেখা শুনা না করে চলে যায় ৯-৫ টা অফিস করে। আপনারা দেখেন এবং তাদের সাথে কথা বলেন। আর যদি না হয় তবে এখানে অনিয়ম হচ্ছে সত্য রিপোর্ট করে দেন। আমরা চাকরি করতে এসেছি, যদি ভাল কাজ না হয় তাহলে আমরা চলে গেলে এলাকাবাসি খারাপ মন্তব্য করবে।
শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল্লাহ জানান, অভিযোগের পর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। আজ কাজ চলছে ঘটনাস্থল থেকে আপনাকে ফোন দেয়া হয়েছে বললে তিনি বলেন আমি জানি না। আগামীকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখব। আর তদন্তে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

