শরিফুল ইসলাম
যশোর-৩ (যশোর সদর) আসনের ভোটারদের জন্য একটি সুখবর হয়ে এসেছেন মরহুম তরিকুল ইসলামের যোগ্য উত্তরসূরি তারুণ্যের অহংকার অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী মরহুম জননেতা তরিকুল ইসলাম আধুনিক যশোর ‘উন্নয়নের কারিগর’ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে যশোর-৩ আসন থেকে প্রথমবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন গণমানুষের প্রাণের নেতা তরিকুল ইসলামের যোগ্য উত্তরসূরি অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ওই নির্বাচন ফ্যাসিস্ট হাসিনা রাতের ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করেন এই বিপুল জনপ্রিয় বিএনপি প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে।
এবারও যশোর বাসী চাইছে তিনি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে যশোর-৩ আসনের মানুষের সেবা ও উন্নয়ন কাজকে আরও গতিশীল করুন।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন পরিচ্ছন্ন, সৎ এবং নিরেট ভদ্র মানুষ। যার হৃদয় সর্বদা মানুষের সেবায় নিবেদিত। তার ব্যক্তিগত সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। যখন তিনি ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগের সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছেন, অনেক জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। আমি তখন ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকলীন তার সাথে থেকে মিডিয়া কাভারেজের দায়িত্ব পালন করি। সেই সময় আমি কাছ থেকে দেখেছি সাধারণ কর্মিদের সাথে উত্তপ্ত রাজপথে বসে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে, আমি দেখেছি কিভাবে তিনি তরুণদের কথা শোনেন, তাদের চিন্তাভাবনাকে মূল্য দেন, আমি দেখেছি কিভাবে গরিব দুখি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং খেলাধুলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অকৃপণভাবে সহযোগিতা করেন।
খুলনা বিভাগের ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের মূল শক্তি ও অনুপ্রেরণা ছিলেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তার অক্লান্ত সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া এ আন্দোলনের বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না।
তিনি শুধু কথা বলেন না, কাজ করে দেখান। তিনি যশোরবাসীকে গভীরভাবে ভালোবাসেন এটি একটি প্রমাণিত সত্য, যার সাক্ষী আমি নিজেও।
যশোর এলাকার মানুষ তাকে ইতিমধ্যেই তাদের ‘যশোর উন্নয়নের দূত’ হিসেবে জানেন এবং বিশ্বাস করেন। তিনি নিতে জানেন না, তিনি শুধু দিতে জানেন। সেবা দিতে, ভালোবাসা দিতে, উন্নয়ন দিতে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে নির্বাচিত করলে তিনি তার সততা, দানশীলতা এবং উন্নয়নমুখী চিন্তাধারা দিয়ে যশোর-৩ আসনকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আসুন, আমরা তাকে ভোট দিয়ে তার হাতে একটি শক্তিশালী জনম্যান্ডেট দিই, যাতে তিনি তার সেবা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের জীবন ও কর্ম নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। আমরা মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন জননেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তার নির্বাচনী এলাকায় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ দেন।