বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে আলোচিত সন্ত্রাসী রবি ওরফে পিচ্চি রবিকে রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করেছে র্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁচড়া মোড়ে র্যাবের সদস্যরা রবিকে ঘিরে ফেললে সে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তার প্যান্টের পকেটে থাকা ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করেন। পিচ্চি রবি রেলগেট চোরমারা দীঘিরপাড়ের বাসিন্দা। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও বোমাহামলাসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। আটকের পর বিকেলে র্যাব সদস্যরা তাকে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরে থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে, যশোর রেলগেট এলাকার প্রাইভেটকার চালক রনি গত শনিবার দুপুর তিনটার দিকে বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মুরাদ ও রবি এসে তাকে বেনাপোলে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু রনি জানান, তার গাড়িতে ভাড়া আছে, তিনি ব্যস্ত থাকায় যেতে পারবেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পিচ্চি রবি, পুলেরহাটের কবিরের ছেলে মুরাদসহ কয়েকজন তিনটি মোটরসাইকেলে করে এসে রনিকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেলটি রনির মাথার উপর দিয়ে পাশের এক দোকানে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের স্পিøন্টারে রনির শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। হামলার পর আসামিরা রনিকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা রনিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে আহত রবিউল ইসলাম রনির স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার বাদী হয়ে পিচ্চি রবি ও মুরাদকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পরে যশোর রেলগেট এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসীকে আটকে অভিযান চালায় বলে জানান র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাসেল। তিনি বলেন, ‘পিচ্চি রবির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা জানতে পারেন তিনি চাঁচড়া এলাকায় অবস্থান করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে রবিকে আটক করতে গেলে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তার প্যান্টের ভিতর থাকা একটি ককটেল বিস্ফারিত হলে সে আহত হয়। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে আসছিলেন বলে জানান র্যাব এই কর্মকর্তা। তার সহযোগীদেরও আটকে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।’