বাংলার ভোর প্রতিবেদক
এইসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রতিবাদে যশোর বোর্ড ঘেরাও করেছে সাতক্ষীরা শালিকা ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা বোর্ড চত্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং দাবি আদায়ে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অনড় থাকেন। এক পর্যায়ে বোর্ড সংশ্লিষ্ঠরা বোর্ডের ভিতরের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে দেন।
এইসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রতিবাদে যশোর বোর্ড ঘেরাও করেছে সাতক্ষীরা শালিকা ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা বোর্ড চত্বরে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং দাবি আদায়ে ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অনড় থাকেন। এক পর্যায়ে বোর্ড সংশ্লিষ্ঠরা বোর্ডের ভিতরের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে দেন।
পরীক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা শালিকা ডিগ্রী কলেজের পরীক্ষার্থীরা সাড়ে তিন কিলোমিটারের দূরে আর কে বি কে হরিস চন্দ্র স্কুল কলেজে কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছেন। এবার আসন্ন এইস এসসি পরীক্ষায় হঠাৎ কেন্দ্রটি যশোর বোর্ড পরিবর্তন করে ২৬ কিলোমিটার দূরে কপিল মনি কলেজে স্থানান্তর করেছে। একটি প্রত্যন্তঅঞ্চলে কেন্দ্র স্থানান্তর করায় বিপাকে পড়েছেন করেজটির ২৪১ পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, স্থানান্তর হওয়া কেন্দ্রটিতে যেতে হলে কপোতাক্ষ নদী পার হতে হবে, নদী পারাপার হওয়ার ক্ষেতেও ভালো নৌকা নেই। এছাড়া কাঁচা সড়কেও যোগাযোগ অবস্থা নাজুক। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্র স্থানান্তর হওয়া কেন্দ্রটি পরিবর্তন করে পূর্বের কেন্দ্র করার দাবি জানান।
সেতু ও অমিত নামে দুই শিক্ষার্থী জানান, ‘আমাদের কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র হয় আর কে বি কে হরিস চন্দ্র স্কুল কলেজে। এই কলেজে যদি কোন সমস্যা হয়, তাহলে আমাদের কলেজের নিকটবর্তী কলেজ রয়েছে সেখানে কেন্দ্র করুক। শালিকা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছে কপিল মনি কলেজে। এটি ২৬ কিলোমিটার দূরে। যদি রাস্তা কমাতে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের কপোতাক্ষ নদী পার হতে হবে। সেই নদীতে কোন নৌকা চলে না। আছে সাময়িক ডিঙে নৌকা। এতো ঝুঁকি নিয়ে কি পরীক্ষা গ্রহন ঠিক হবে বোর্ডের।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘নদী পার হলেও পরের রাস্তাগুলো মাটির সড়ক। এখন বর্ষাকাল। প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে, ভোগান্তি দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
রিয়াদ আহম্মেদ নামে এক পরীক্ষার্থী জানান, ‘আমাদের সমস্যা নিয়ে প্রথমে কলেজের শিক্ষকদের জানায়। এর পর কয়েক শিক্ষক নিয়ে গত মাসে আমরা বোর্ডে আসি। বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তা পরিবর্তন হবে না এমনটি জানায়। একই সাথে ঐই দিন আমাদের স্যারদের অপমান করে। তাই কলেজের শিক্ষকেরা আমাদের সাথে আর আসেনি। তাই আমরা আজ সকাল থেকে এখানে বিক্ষোভ ঘেরাও কর্মসূচি করছি।’
বোর্ড চত্বরে পাঁচ ঘন্টা অবস্থান শেষে বিকালে নিজ কক্ষে আন্দোলনকারী পাঁচ শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে যান বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মৎ আসমা বেগম। আধাঘন্টা পরে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে নিয়ে নিচে আসেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এস এম মাহবুবুল ইসলাম ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবদুল মতিন। এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য সচিব প্রফেসর এস এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহনে অনুকূল পরিবেশ না থাকাতে কেন্দ্রটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর কেন্দ্র পরিবর্তর করা সম্ভব নয়। যেহেতু শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের দাবি তুলেছে; তাদের দাবির পেক্ষিতে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহন হবে।’ বোর্ড সংশ্লিষ্ঠদের আশ্বাসে এসময় শিক্ষার্থীরা বোর্ড চত্বর ত্যাগ করতে দেখা যায়। আর এই বিষয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবদুল মতিন বলেন, ‘আন্দোলকারী যে কলেজের, তারা আর কে বি কে হরিস চন্দ্র স্কুল কলেজে পরীক্ষা দিতো। এটি মূলত কেন্দ্র না, এটি কেন্দ্রের ভেনু। যে কারণে এখানে নকল হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। নকলের মহা উৎসব চলতো। যে কারণে গত বছরের ঐই কেন্দ্রটির সচিবসহ কয়েক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এখন ভেনু বাতিল করাতে তাদের একটু দুরত্ব সৃষ্টি হয়ছে। তাই তারা বিক্ষোভ করছে।’
বোর্ড চত্বরে পাঁচ ঘন্টা অবস্থান শেষে বিকালে নিজ কক্ষে আন্দোলনকারী পাঁচ শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে যান বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মৎ আসমা বেগম। আধাঘন্টা পরে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে নিয়ে নিচে আসেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এস এম মাহবুবুল ইসলাম ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবদুল মতিন। এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য সচিব প্রফেসর এস এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহনে অনুকূল পরিবেশ না থাকাতে কেন্দ্রটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর কেন্দ্র পরিবর্তর করা সম্ভব নয়। যেহেতু শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের দাবি তুলেছে; তাদের দাবির পেক্ষিতে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহন হবে।’ বোর্ড সংশ্লিষ্ঠদের আশ্বাসে এসময় শিক্ষার্থীরা বোর্ড চত্বর ত্যাগ করতে দেখা যায়। আর এই বিষয়ে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবদুল মতিন বলেন, ‘আন্দোলকারী যে কলেজের, তারা আর কে বি কে হরিস চন্দ্র স্কুল কলেজে পরীক্ষা দিতো। এটি মূলত কেন্দ্র না, এটি কেন্দ্রের ভেনু। যে কারণে এখানে নকল হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। নকলের মহা উৎসব চলতো। যে কারণে গত বছরের ঐই কেন্দ্রটির সচিবসহ কয়েক শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এখন ভেনু বাতিল করাতে তাদের একটু দুরত্ব সৃষ্টি হয়ছে। তাই তারা বিক্ষোভ করছে।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৎ আচারণ বোর্ডের প্রকৌশলী কামাল হোসেনের
এদিকে এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৎ আচারণ করেন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনসহ দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধাও দেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও নেওয়ার সময় বোর্ড থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশনা উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন। প্রকৌশলী কামালের এমন কার্যক্রমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা। তবে বোর্ডের সচিব প্রফেসর এস এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা ভুলবুঝাবুঝি।’
এদিকে এই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৎ আচারণ করেন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনসহ দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধাও দেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা। বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও নেওয়ার সময় বোর্ড থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশনা উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন। প্রকৌশলী কামালের এমন কার্যক্রমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা। তবে বোর্ডের সচিব প্রফেসর এস এম মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা ভুলবুঝাবুঝি।’
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ জুন থেকে । এইচ এসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে যশোর বোর্ড থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার ১৯৪ পরীক্ষার্থী কমেছে। ২৪০টি কেন্দ্রে খুলনা বিভাগের ৫৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসব পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। এর মধ্যে ৬টি নতুন কেন্দ্র করা হয়েছে।