বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পারখাজুরা বাঁওড়ের ডিডকৃত ৫০% এর মালিকানা বুঝে না দিয়ে বরং সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা মামলাসহ জীবননাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।আজ (সোমবার) দুপুরে স্থানীয়ভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাঁওড়ের অর্ধেকের মালিক বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ইজারাদারা মালিক হয় হাকিমপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতি। তিনি বলেন, সমিতির সভাপতি মলয় কুমার ও সাধারণ সম্পাদক অসীতকে সাথে নিয়ে সমিতি প্রতিষ্ঠার সকল কার্যক্রম নিজ অর্থে সম্পন্ন করাসহ কয়েক বছর ধরে সমিতির কার্যক্রম চালানোর ব্যয়ভার নির্বাহ করেন তিনি। সে সময় ওই সমিতির সভাপতি মলয় ও সেক্রেটারি অসীত ডিডের মাধ্যমে ইজারাকৃত বাঁওড়ের পঞ্চাশ শতাংশ শেয়ার লিখে দেন অর্থদাতা শফিকুলের নামে। কিন্তু শফিকুল ইসলাম গ্রামের বাড়ি হাকিমপুরে (বাঁওড় সংলগ্ন) না হওয়ার সুবাদে স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহলের যোগসাজসে ইজারা মালিকরা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র আটতে থাকে। একপর্যায় ইজারা চুক্তি শেষে ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল বাঁওড়ে মাছ ছাড়ার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শফিকুলকে বিভিন্নভাবে তারা অপমান করার চেষ্টা করে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য বাঁওড় থেকে শফিকুলকে উৎখাত করার। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে চলে যান শফিকুল। এরপর থেকে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর মদদে ইজারা মালিকরা সিয়ার মালিক শফিকুলকে কোন আয় ব্যয় হিসাব দেয় না। সেই থেকে এমনকি বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি হুমকি দিয়ে চলে আসছে। সর্বোপরি গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাঁওড়ের নতুন ভাসমান সেতু উদ্বোধনের দিন শফিকুল ইসলাম বাড়িতে এসে কিছু লোকজন নিয়ে একটা ট্রলারযোগে বাঁওড়ে ঘোরাফেরা করায় ওই সন্ত্রাসী বাহিনী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এবং রাত পৌনে আটটার দিকে শফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে রাজগঞ্জ বাজারে যাওয়ার পথে নলতা খেয়াঘাট বাজারের ২০০ গজ অদূরে পৌঁছালে রাতের আঁধারে এক ব্যক্তি তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাশে থাকা পাঁচ সাত জন লোক লাঠি দিয়ে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও ইজারা মালিক তরিকুল, মলয়, মনিরুল, রুহুল আমিনের নাম উল্লেখসহ ৫/৬জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেও আমলে নেয়নি প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে বাওড়ের অর্ধেকাংশের মালিক শফিকুল ইসলাম তার মালিকানা বুঝে পেতে ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রাজ্জাক, মিলন কুমার সরকার, আব্দুর গফুর সানা, জব্বার সানা, রবিউল ইসলামসহ কয়েক গ্রামের সুধী ও সাধারণ গ্রামবাসী।
শিরোনাম:
- ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের প্রত্যয় সোহাগের
- নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামী জোটকে বিজয়ী করুন : অধ্যাপক গোলাম রসুল
- সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আলী আসগার লবীর মতবিনিময়
- কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের আহবায়কসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা
- অভয়নগরে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- যশোরে বলাৎকারে অভিযুক্ত রনি আটক
- মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত