বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ইস্তিয়াক আহমেদ নামে (২৬) যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি বেজপাড়া বনানী রোডের সাবেক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ইকবাল আনোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেজপাড়া মেইন রোডস্থ বনানী রোডের প্রবেশমুখে ইস্তিয়াক মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিল। এ সময় দুইজন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে বুকে ও পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আহতের চিৎকারে এলাকার কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করলেও তাদেরকে ধরতে পারেনি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার পতনের পর থেকে পুলিশের কোন ভূমিকা নেই। এতে করে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা গত ৫ আগস্ট বনানী রোডের কিছু বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। পরে এলাকার মানুষ রাত জেগে গত এক মাস ধরে পাহারা দিচ্ছে। পুলিশ তালিকাভুক্ত অপরাধীদের আটক করলে এসব অপরাধ কমে যাবে।
আহতের পিতা পারভেজ আহমেদ জানান, আমার ছেলে পার্টিক্যাল বোর্ডের ব্যবসা করে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ছরিকাঘাত করা হয়েছে। প্রথমে তাকে যশোর আড়াইশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ছেলেকে।
এলাকাবসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর থেকে বেজপাড়া বিহারীপাড়া, মসজিদ কলোনী, কবরস্থান রোড, বেজপাড়া নলডাঙ্গা সড়কের কিছু ছিনতাইকারী বেপারোয়া হয়ে উঠেছে। তারা কৌশল পরিবর্তন করে রাত ১২টার আগে ও দিনের বেলায় ছিনতাই করছে। কেননা রাত ১২টর পর এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে লাঠিহাতে পাহারা দিচ্ছে। যেকারণে তারা রাতে অপরাধ করতে পারছেনা। এসব অপরাধীদের মধ্যে রয়েছে, বিহারী পাড়ার একাধিক হত্যা মামলার আসামি পেচো, সেলিম, আমিনুল, এনাম, গুলি, আরমান ও মাদক ব্যবসায়ী রাব্বি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, বেজপাড়ার ইস্তিয়াককে কারা ছুরি মেরেছে তা আমরা জানতে পেরেছি। তাদেরকে আটকে পুলিশ কাজ করছে।