বাংলার ভোর প্রতিবেদক
করসহ পৌরসভার নিপীড়নের বিরুদ্ধে পৌর নাগরিক কমিটি যশোরের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোরের রবীন্দ্রনাথ সড়কের নতুন বাজার এলাকায় নান্নু চৌধুরী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টে এ সভা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, যশোর পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও বর্তমানে সেটি জনস্বার্থ বিমুখ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কর বৃদ্ধির হার বা সময়সীমা নিয়ে কোন নীতিমালা না করে তারা ইচ্ছা মাফিক এ্যাসেসমেন্ট ও কর নির্ধারণ করছে। পরবর্তীতে কোন কোন নাগরিককে রিভিউ বোর্ড ডেকে গোপন লেনদেনের মাধ্যমে সমাধা করা হচ্ছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি জন্ম নিবন্ধন ফি ৫০ টাকার স্থলে অধিক টাকা আদায়সহ বানান ভুলের ফাঁদে ফেলে আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। পৌরসভায় যেকোন কাজে গেলেই তার আবেদন ফি নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। নাগরিকদের দেয়া করে ১০ ভাগ পানি কর থাকলেও আলাদাভাবে পানির বিল দিতে হয়। ইতিপূর্বে পানির বিল ২০ টাকা বৃদ্ধি করা হলেও পানির গুণগত মান বা সরবরাহের গতি বাড়েনি। এর মধ্যে নতুন করে পানির বিল বৃদ্ধি ও সাবমার্সিবল পাম্পের উপর অযৌক্তিকভাবে বিল নির্ধারণের পাঁয়তারা চলছে।
পৌর এলাকার ময়লা আবর্জনা সঠিকভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না করেই পয়ঃপ্রণালি ও পরিচ্ছন্ন কর আদায় করা হলেও অনেক এলাকায় নেই ডাস্টবিন। অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অযোগ্য। বৃষ্টিতে অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। পাড়া মহল্লার অনেক সড়কে বাতি নেই।
তারা ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি করেছে যা অস্বাভাবিক। এছাড়া বাড়ি তৈরির প্লান পাস করাতে গেলে হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রিতার বেড়াজালে ফেলে টাকা আদায় করা হয়। পৌরসভার উদাসীনতায় একে একে সংশ্লিষ্ট এলাকার সকল পুকুর জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় পৌর প্রশাসন নাগরিকদের এসব সমস্যার সমাধানে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পৌর নাগরিক কমিটি যশোরের নেতৃবৃন্দ এ সময় সকলকে ঐকবদ্ধ হয়ে পাড়া মহল্লায় নাগরিক কমিটি গঠনের আহবান জানান।
