বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদরের রূপদিয়া এমকে ফিলিং স্টেশন এলাকায় প্রকাশ্যেই চলে আসছে জালানি চলে তেল চুরি। দীর্ঘদিন ধরে শহরতলীর রূপদিয়া এমকে ফিলিং স্টেশন এলাকায় একটি সিণ্ডিকেট খুলনা থেকে আসা তেলবাহী ট্যাংকলরী থেকে প্রকাশ্যে তেল চুরি করে চলেছে। স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা এ সিণ্ডিকেটটির বিরুদ্ধে তাই কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দু’য়েকদিন থেমে থাকলেও ইদানিং আবার শুরু হয়েছে তেল চুরির কারবার। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তেল পাম্প মালিকরা।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার জাকির, আরিফ ও ইমরানের নেতৃত্বে একটি বড় সিণ্ডিকেট খুলনা থেকে তেল নিয়ে আসা তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর চালকদের সাথে বিশেষ রফার মাধ্যমে প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন ধরে তেল চুরি করে বিক্রি করে আসছে।
প্রতিদন শত শত ট্রাক থেকে কয়েক হাজার লিটার তেল চুরি করে ড্রামে ভরে বিক্রি করা হয় চোরা বাজারে। আর প্রকাশ্যে এ কারবার চললেও প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কোন মহলের এ নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা নেই। কেননা এই সিণ্ডিকেটের সাথে রয়েছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। গত ৫ অগস্টের পর কয়েকদিনের বিরতি শেষে তারা রাজনৈতিক ভোল পাল্টে আবারো নেমে পড়েছে তেল চুরি কারবারে।
আর তাদের এ কারবার যেন কোনভাবে সংবাদ মাধ্যমে না প্রকাশ পায় তার জন্য রয়েছে ‘শ’ আদ্যাক্ষরের সাংবাদিকের সাথে চুক্তি। আজ আমাদের এই প্রতিবেদক যখন তেল চুরির চিত্র ধারণ করেন তখন ওই সিণ্ডিকেট সদস্য ওই সাংবাদিককে নিউজ যেন না হয় সেজন্য বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক নজরদারির দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
তবে এ বিষয়ে, তেল চোর সিণ্ডিকেটের সদস্যরা প্রকাশ্যে না আসায় তাদের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।