রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশে প্রবাহমান তীব্র তাপপ্রবাহ এ যাবতকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বৈশাখের শেষে এসে তা যেন আরো আগুনে রূপ নিয়েছে। আর এ প্রচণ্প তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে মণিরামপুরের রাজগঞ্জ অঞ্চলের জনমানুষের। সেই সাথে বেড়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি।
প্রচণ্ড রোদে সকাল ১০টার পর ঘরের বাইরে বের হলেই সূর্যের প্রখর তাপে ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা হচ্ছে। এর ফলে হতদরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার ব্যাপকহারে কমেছে। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মাঠে ঘাটে শ্রমজীবী মানুষ ও শিশুরা। সূর্য দহনে প্রাণীকূলও শীতল পরশের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠছে। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। কিন্তু সেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি মিলছে না। কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পরে আকাশে কোথাও কোথাও মেঘের দেখা মিললেও হচ্ছে না বৃষ্টি। প্রকৃতি যেন ছাড়ছে তপ্ত নিঃশ্বাস।
নেংগুড়াহাট এলাকার ভ্যানচালক ফিজু, আতিয়ার রহমান, মকবুল হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমে ভ্যান চালাতে পারছি না। হাঁপায়ে উঠছি, পেট আছে বইলে বের হই। সূর্যর তাপে দেহ যেন গলে গলে পড়ছে। মাঠে কাজ করা কৃষক মোতালেব হোসেন, রাহুল হোসেন ও মিলশ্রমিক আব্দুল্লাহ বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজ-কর্ম করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমে রাতে ঠিকমতো ঘুমানোও যাচ্ছে না। সূর্যের তাপে চামড়া পুরে যাচ্ছে। তারা বলেন প্রচণ্ড খরতাপে ঘর থেকে বের হতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য কাজের ফাঁকে তারা ছুটছেন ফাঁকা জায়গায় অথবা গাছের ছায়ায়।
এ বিষয়ে কথা হয় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আনোয়ারুজ্জামান (টুকুর) সাথে। তিনি বলেন, তীব্র গরমে কাবু হচ্ছে মুরুব্বী, যুবক শিশুরা। ডায়রিয়া, ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। অনেক, হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় কর্তব্যরতদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে নেংগুড়াহাটের স্থানীয় ডাক্তার আব্দুস সামাদ বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় গরম বেশি লাগছে।