আশাশুনি সংবাদদাতা
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর আবু বক্কার সিদ্দিক ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিভিন্ন দুর্নীতির প্রতিকার দাবিতে ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্থানীয় তালতলা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতাপনগর গ্রামের ভুক্তভোগি বিলকিস নাহার বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ আমার মেয়ে দিলরুবা ইয়াসমিনকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৫ কিস্তিতে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েও চাকরি দেননি এমনকি ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি।
একই গ্রামের মনজুরুল সানা জানান, আমার কন্যা নাতাশা পারভীনকে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। টাকা চাইলে তালবাহানা করে।
আব্দুর রহিম ঢালী জানান, শহিদুল্লাহ আমার পুত্র সাকিবকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা নেন। একই গ্রামের জাকিরুল ইসলাম জানান, মাওলানা শহিদুল্লাহ আমার স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে আয়া পদে চাকরি দেয়ার জন্য ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা নেন। ভুক্তভোগী সাকিব জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজসহ প্রমাণ আছে। তামিম হোসেন রুবেল জানান, মাওলানা শহিদুল্লাহ আমার বোনকে চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়েও ফেরত দেয়নি।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ জানান, বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। মাওলানা শহিদুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।