পাইকগাছা সংবাদদাতা
প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে পাইকগাছায় দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তার ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে ১০ পরিবারের লোকজন রাস্তায় উঠতে না পারায় অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। আদালতে পথের দাবিতে মামলা হওয়ায় পুলিশ ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী আদালতের মামলার বিবারণে জানা যায়, উপজেলার রামনগর গ্রামের শেখ মশিউর রহমান ও আক্তার হোসেন শেখ একই বংশের লোক। তাদের চলাচলের জন্য ৬ ফুট চওড়া ও ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে পাকা রাস্তা তৈরি করে। দীর্ঘদিন ধরে এ পথ দিয়ে ১০টি পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী চলাচল করে আসছে। কিছুদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছে। এ জন্য আক্তার হোসেনরা তাদের শরিকের কিছু অংশ জমি নিলুফা বেগমদের কাছে বিক্রি করেন।
জমি কিনেই প্রতিপক্ষ নিলুফা বেগম রাস্তার ওপরেই পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ফলে ১০টি পরিবারের যাতায়াত বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পথ উন্মুক্ত রাখার দাবিতে শেখ মশিয়ার রহমান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৭ ধারায় ২৭ মে মামলা করেন। আদালত উভয়পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য থানা ওসিকে আদেশ দেন।
আদালতের আদেশ পেয়ে ওসি ওবাইদুর রহমান সরেজমিনে তদন্তের জন্য এএসআই ওয়াজেদ আলীকে দায়িত্ব দেন। গত ৪ জুন সরেজমিনে তদন্তকালে উভয়পক্ষকে আদালতের আদেশ পড়ে শোনান এবং ভবন নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য বলা হলে নিলুফা বেগমরা তা অমান্য করে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে নিলুফা বেগম জানান, ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে তারা কোনো বাধা না দিয়ে এখন মামলা করেছে। পূর্ব পাশে আমাদের জমি আছে, সেখান দিয়ে পথ দিতে হবে অন্যথায় দেয়াল ভেঙে পথ দেয়া ছাড়া উপায় নেই।
মশিয়ার রহমান বলেন, আমাদের ১০টি পরিবারসহ লোকজনের চলাচলের জন্য শরিকভুক্ত জমিতে পাকা রাস্তা করে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করছি। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের শায়েস্তা করতে তারা পথের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। স্থানীয় অনেকেই বলেন, উভয়ের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।