বাংলার ভোর প্রতিবেদক
প্রেস ক্লাব যশোরের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম তৌহিদুর রহমান পুননির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক। এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতহীন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৮৬ জন ভোটারই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তথ্যমতে, সভাপতি পদে ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জাহিদ হাসান টুকুন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ফারাজী আহমেদ সাঈদ পেয়েছেন ২২ ভোট। সহসভাপতি দুটি পদে ওহাবুজ্জামান ঝন্টু ৪৬ ভোট ও শেখ দিনু আহমেদ ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ৩৫ ভোট ও সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ ৩৪ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এসএম তৌহিদুর রহমান। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি আহসান কবীর পেয়েছেন ৩৮ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে জাহিদ আহমেদ লিটন ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি হাবিবুর রহমান রিপন ৩৮ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুল কাদের ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি তহীদ মনি ৩৭ ভোট পেয়েছেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দেওয়ান মোর্শেদ আলম ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি মনিরুজ্জামান মুনির পেয়েছেন ২৮ ভোট।
কার্যনির্বাহী সদস্য ৬টি পদে বিজয়ীরা হলেন, শহিদ জয় ৬১ ভোট, হাবিবুর রহমান মিলন ৫৫ ভোট, সফিক সায়ীদ ৫২ ভোট, সাইফুর রহমান সাইফ ৪৯ ভোট, শিকদার খালিদ ৪৬ ভোট, আব্দুল ওয়াহাব মুকুল ৪৫ ভোট। এ পদে পরাজিতরা হলেন, এহসান উদ দৌলা মিথুন ৪৪ ভোট ও মোকাদ্দেছুর রহমান রকি ৩৯ ভোট। এর আগে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন যুগ্ম সম্পাদক এসএইচএম জাহিদুল কবীর মিল্টন ও কাজী আশরাফুল আজাদ।
এদিকে, ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাব যশোরের নির্বাচন উপলক্ষে সকাল থেকে সাংবাদিকদের মিলমেলায় ক্লাব চত্বরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। ক্লাবের সদস্য ছাড়াও ভোট উৎসব পরিদর্শন করেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, রাজনীতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা। দিনভর খাওয়া দাওয়া আড্ডায় অন্যরুপ নেয় ক্লাব চত্বর।
প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গেল বছরের ৩০ নভেম্বর। কিন্তু প্রেসক্লাবের ভোটাধিকারের বিষয়ে সাবেক একজন সদস্য আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে নির্বাচনটি ভোটের ১৪ ঘন্টা আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন বিচারক।