মনিরামপুর সংবাদদাতা
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিন জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা তিনজন সস্পর্কে ভাই,বোন ও ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে।

শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মুনসরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে সাকিবুর রহমান নিশান (২৩), মেয়ে নীলা খাতুন (২৫) ও মেয়ে জামাই মিজানুর রহমান (৩৫)।

নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তার বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও তার বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।

নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ৬ ও ৪ বছর বয়সী দুটো ছেলে রয়েছে। আর নীশানের ঘরে রয়েছে কয়েকমাস আগে বিয়ে করা নববধূ।

এই ঘটনায় নিহতেদর বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে পুরো রাজগঞ্জ জুড়ে।
নিহতদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন,
মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ শনিবার সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছুলে একটি ট্রাকের সাথে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তার বোন নীলা নিহত হন।

হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সকালে নিশানের স্বজনেরা লাশ আনতে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওয়ানা হন। বিকেলে ৪টার পর তিন জনের মরদেহ রাজগঞ্জে এসে পৌঁছায়।

নিহত নিশানের খালাতো ভাই আকাশ বলেন, খবর পেয়ে দুপুরে আমরা ভাঙ্গা থানায় যাই। এরপর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তিন জনের লাশ নিয়ে রাজগঞ্জে ফিরে আসি।

আকাশ বলেন, শনিবার মাগরিবের নামাজের পর রাজগঞ্জ বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে নিহত তিন জনের জানাজা সম্পন্ন হয়ে নিশানকে রাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এরপর নিশানের বোন ও ভগ্নিপতির মরদেহ কেশবপুরে তাদের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

Share.
Exit mobile version