বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নাট্য সংগঠন বিবর্তন যশোরের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক শেখ রেজাউদ্দীন আহমেদ। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘অসংখ্য নাট্যকর্মী নিহত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ফ্যাসিসদের হাতে। যারা জনগণের ক্ষমতাকে বিশ্বাস করে না তাদের হাতে। নোবেল জয়ী নাট্যকার হ্যারল্ড পিন্টার তার নাটকের জন্য অনেকবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সুতরাং পৃথিবীর ইতিহাসে নাটক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাত ঘাটের কানাকনি নাটক স্বৈরাচার এরশাদের পতনে ভূমিকা রেখেছিলো। যারা ফ্যাসিস্ট হয়, অগণতান্ত্রিক সরকার হয়, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর অন্যতম মাধ্যম নাটক।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নওরোজ আলম খান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিবর্তনের প্রধান উপদেষ্টা লেখক আমজাদ হোসেন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান রনি প্রমুখ।
এর আগে বিবর্তনের শিল্পীরা সমবেতকণ্ঠে আবৃত্তি পরিবেশন করেন। পরে রাতে বিবর্তনের শিশু বিভাগের পরিবেশনায় পরপর দুটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। প্রথমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা ও সাইফুল ইসলাম মন্ডলের নির্দেশনায় ‘রথের রশি’ ও পরে কাজী নজরুল ইসলামের রচনায় ও আতিকুজ্জামান রনির নির্দেশনায় ‘পুতুলের বিয়ে’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।
আজ শনিবার একই মঞ্চে দেশসেরা মঞ্চ নাটক মাতব্রিং মঞ্চস্থ হবে। সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে নাটক- এই স্লোগান সামনে নিয়ে ১৯৮৯ সালের ১২ অক্টোবর বিবর্তন যশোর’র যাত্রা শুরু হয়।