পাঁজিয়া সংবাদদাতা
দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময়ই ভারি কিংবা মাঝারি বর্ষণ হচ্ছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের ছাতার বেশি প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে।
ফলে নতুন ছাতার কদরসহ পুরাতন ছাতা মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এমন চিত্রের দেখা মিলেছে কেশবপুর উপজেলায়। পৌর শহরে ফুটপাতে দেখা যাচ্ছে পুরাতন ছাতার কারিগরদের ব্যস্ত সময়। আবার যাদের ঘরে ছাতা নেই তারা কিনছেন নতুন ছাতা। এতে করে ব্যবসায়ীরাও খুশি।
পৌর শহরের বিভিন্ন ছাতার দোকানে দেখা গেছে সাধারণ ক্রেতারা দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি ছাতা। শিশুদের জন্য আছে বাহারি নকশার ছাতা। শহরের গাজীর মোড়, থানার মোড় সহ কয়েকটি ফুটপাতে কারিগররা মেরামত করছে পুরাতন ছাতা।
সুজাপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, অযত্নে ঘরে পড়ে ছিলো দুটি ছাতা। বৃষ্টিতে ছাতার প্রয়োজন তাই সারাতে এসেছি। নতুন ছাতা কিনতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। দুইটি ছাতা সারাতে কারিগরকে মাত্র ৫০ টাকা দেয়া লাগলো।
ব্যাসডাঙ্গা গ্রামের হায়দার রহমান বলেন, বৃষ্টিতে ভিজে বাইরে যাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র না ভেজে সেজন্য ছাতা কিনতে এসেছি।
ছাতা কারিগর ও ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্ষা মৌসুমে ছাতার বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে। বিক্রি ও মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ফলে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এ কাজ। বৃষ্টি সময় বেচাকেনার ভাবও ভালো। ছোট্ট-বড় সব বয়সের লোক ছাতা কিনছে। তার মধ্যে শিশুরা বাহারি নকশার ছাতা দেখে ক্রয় করছে। পুরাতন ছাতা সারাতে আসছে অনেকেই।