বিবি প্রতিবেদক
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকীর শুক্রবারের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, অমিত্রাক্ষর ছন্দে ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ শিরোনামে মহাকাব্য রচনা করে যিনি মহাকবি হয়ে ওঠেন তিনি আমাদের মধুসূদন দত্ত। শুধু মহাকাব্য নয়; শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী, পদ্মবতীর মত আধুনিক নাটক ও প্রথম চতুরদশপদী-সনেট রচনা করে যিনি বাংলা সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন।
গতকাল রাতে সাগরদাঁড়ির মধুমেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা হয়। এসময় বক্তারা আরো বলেন, প্রায় দেড় শত বছর আগে ১৮৬১ সালে যখন মেঘনাদ বধ কাব্য রচিত হয় তখন মধুসূদন তাঁর বন্ধু রাজনারায়ণ বসুকে লিখেছিলেন ‘বন্ধু রাজ, তোমাকে আমি হলপ করে বলতে পারি, আমি দেখা দেবো একটা বিশাল ধূমকেতুর মতো এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। মধুসূদন এক বিশাল ধুমকেতুর মত শুধু বাংলার সাহিত্যাকাশে উদিত হননি। রীতিমত স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল হয়ে আছেন। তাই মধুসূদন দত্ত আজই প্রাসঙ্গিক বিষয়। শুধু পাচ্যে নয়, পাশ্চ্যতেও মধুসূদনের কাব্য প্রাসঙ্গিক। এজন্যে ২০০৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ও ২০১০ সালে আরো কয়েকটি দেশ থেকে মেধনাদ বধ কাব্য অনুবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে মধুসূদনের পুনর্জন্ম ঘটেছে।
মধুসূদন আজও প্রাসঙ্গিক বলেই তাঁর সাহিত্য চর্চা ও গবেষনার জন্যে মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতে একটি সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, স্থানীয় সরকার খুলনার উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার যশোরের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান।
আলোচক ছিলেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, সুরধনী যশোরের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, বিশিষ্ট সমাজসেবক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক সাজেদ রহমান বকুল, প্রভাষক মছিহুর রহমান, কবি মকবুল মাহফুজ, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন, প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।

Share.
Exit mobile version