বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া বাজারে এক ব্যবসায়ির কাছে বাকিতে ডিজেল ক্রয় নিয়ে বিএনপি’র এক নেতা ব্যবসায়ীর হাত পা ভেঙ্গে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা শিকদার গত সোমবার সকালে নারিকেলবাড়িয়া বাজারে মুদি ব্যবসায়ী বলাই সাহার দোকানে ডিজেল কিনতে যান। বাকিতে ডিজেল না দেওয়ায় গোলাম মোস্তফা বলাই সাহার উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে দোকানে আগুন ধরিয়ে ওই ব্যবসায়ীর হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন। এ সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা বলাই সাহার পাশে দাঁড়ান। একপর্যায়ে অবস্থার বেগতিক দেখে গোলাম মোস্তফা সটকে পড়েন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও এ দিন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী বলাই সাহা জানিয়েছেন, ‘গোলাম মোস্তফা শিকদার এক ব্যারেল ডিজেল বাকিতে ক্রয়ের কথা বলে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। সে বলতে থাকে আমাকে চিনিস, আমি বাঘারপাড়া বিএনপির বড় নেতা। ডিজেল না দিলে তোর ঘরে আগুন লাগিয়ে দিবো। এরপর তোর হাত পা ভেঙ্গে দিবো। দেখি তোকে কে ঠেকায়। হট্টগোলের এক পর্যায়ে বাজারের লোক জড়ো হলে সে চলে যায়।’
https://fb.watch/x6gCipoRtj/
তবে বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা শিকদার দাবি করেছেন, ‘হুমকি ধামকি দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। বলাই সাহার দোকান থেকে আমি নিয়মিত ডিজেল নিয়ে থাকি। প্রতি মৌসুমে এই দোকান থেকে লাখ লাখ টাকার তেল কিনে থাকি। সাম্প্রতিক সময়ে একটার দাম দিয়ে একটা বাকিতে নিয়ে যাই। এদিন বলাই সাহার ভাই বিশ্বজিৎ সাহা বাকি দেবে না বলে আমাকে জানালে আমি টাকা পরিশোধ করে তেল নিয়ে আসি।’
নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, গোলাম মোস্তফা শিকদার যে কাজটি করেছেন তাতে স্থানীয়ভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। থানা ও জেলা বিএনপির উচিত বিষয়টি তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।