বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বাজারে সবজি ও ডিমের দাম কমেছে। বেড়েছে সোনালী মুরগির দাম। বাজারে ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। ঈদের দীর্ঘ ছুটির পর থেকে প্রায় ক্রেতাশূন্য বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর থেকে বাজারে ক্রেতা কম, বিক্রিও কম।
শুক্রবার শহরের বড়বাজার হাজী মোহাম্মদ মহসিন (এইচএমএম) রোড কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিছু সবজির দাম গত সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে কয়েকদিনে তুলনায় বেড়েছে ঝালের দাম। চারদিন আগেও যে ঝালের দাম ছিল ৪০ টাকা কেজি। বর্তমানে তা ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সবজির বাজারের ক্রেতার দেখা কম হওয়ার বিক্রেতারা হতাশ প্রকাশ করেন। কাঁচা তরকারি বিক্রেতা ইমদাদুল হোসেন জানান, ঈদের পর থেকে কাঁচা বাজার ক্রেতা শূন্য।
বর্তমানে বাজারে পটল ১৫ থেকে ২০, বেগুন ৫০, ঢেঢ়ষ ২০, কলা ৪০, পেঁপে ২০, লাউ আকার ভেদে ৩০ থেকে ৫০, ধুন্দল ২০, করলা ৮০, কুমড়ো ২৫, কাকরোল ৬০, কচুরমুখি ৫০ টাকা, ডাটা ২০ টাকা, ঝিঙে ২০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালী মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহের ২৫০ টাকা কেজির সোনালী মুরগি বর্তমানে ৩১০ টাকা কেজি। তবে অন্যান্য মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বড় বাজারের তানবীর ব্রয়লার হাউসের মালিক ইমরান হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন সব রকম মুরগির দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে ছিল। হঠাৎ গত চারদিনে সোনালী মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, খামারিদের কাছ থেকে যেমন দামে কিনি, সামান্য লাভ রেখে সেভাবে বিক্রি করি। তবে গত কয়েকদিনে বাজারে সোনালী মুরগির সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম, এজন্য দাম বাড়তে পারে। গরু এবং খাসির মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায় দাম অপরিবর্তিত তবে ক্রেতার সংখ্যা কম।
চালের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চালের দাম প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। এছাড়া সব রকম চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। হাট চাঁদনীর উত্তম ট্রেডার্সের মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা বলেন, নতুন চাল ওঠায় চালের দাম ক্রেতার তার নাগালের মধ্যেই রয়েছে। তবে তবে মিনিকেট চালের দাম দুই টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭২ টাকা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। এ সময় চালের দাম কম থাকলেও বাজারে ক্রেতা না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন চিত্তরঞ্জন সাহা।
বড় বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক জানান, ডিমের দাম কমতির দিকে। বর্তমানে লাল ডিম ৪০ টাকা হালি, সাদা ডিম ৩৮ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪৪ এবং ৩৮ টাকা হালি। তবে হাঁসের ডিমের দাম হালি প্রতি ৭০ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
বড় বাজার আটা পট্টির মুনিম স্টোরের মালিক মো. মুনিম জানান, খোলা সয়াবিন তেল এবং পাম তেলের দাম প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা লিটার, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা কেজি এবং পাম তেল ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব রকম মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক। দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী মেহের আলী জানান, ঈদের পর আজ প্রথম মাছের বিক্রি ভালো। তবে ইলিশ মাছের চাহিদা থাকলেও দাম নাগালের বাইরে হওয়ায় বিক্রি কম।