বাংলার ভোর প্রতিবেদক
চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না দেয়ায় শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের এক বাড়িতে হামলা চালিয়ে কেয়ার টেকারকে মারপিট গেট ভাংচুর ও বাড়ির মালিককে মারপিট করে সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে সোমবার রাতে কোতয়ালি থানায় চিহ্নিত ৫ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা করেন, শহরের ষষ্টিতলা পাড়া পিটিআই রোডস্থ বর্তমানে বেজপাড়া মেইন রোডস্থ অনীল দেবনাথের ছেলে রিংকু দেবনাথ। মামলায় আসামি করা হয়েছে, বেজপাড়া মেইন রোডের আয়নাল উদ্দিনের ছেলে আসিফ, একই এলাকার ফিরোজ হোসেন, শওকত আলী, সেনা পরামানিক ও বেজপাড়া বুনোপাড়ার মিশুক ভট্টচার্য্যসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বিগত অনুমান ৩ বছর পূর্বে বাদি শহরের বেজপাড়া মেইন রোডে সাত তলা বিবিষ্ট একটি আবাসিক বাড়ি নির্মাণ করেন। আসামিরা মাস খানেক পূর্ব হতে বাদির কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। বাদি আসামীদের নানা কৌশলে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে আসছে। তারপরও পেশাদার সন্ত্রাসীরা বাদির নিকট হতে চাঁদা গ্রহনের সুযোগ খুজতে থাকে এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার বিপ্লব সফল হওয়ায় সারাদেশ ব্যাপি হঠাৎ করে দুস্কৃতিকারীরা যে লুন্ঠন ও অগ্নি সংযোগ শুরু কওে তারই ধারাবাহিকতায় আসামিরা বাদী একজন ব্যবসায়ী হওয়ায় গত ৬ আগষ্ট বিকেল ৩ টায় আসিফের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা বাদির বাড়ির মেইন গেটে এসে আচমকায় বাড়ির বাড়ির কেয়ারটেকার তামিম সরদারকে এলোপাতাড়ী কিল ঘুষি মারতে থাকে।
বাদি চিৎকার চেচামেচি শুনে গেটের বাইরে এসে তার কেয়ার টেকারকে রক্ষা করতে গেলে আসিফ বাদিকে কিল ঘুষি চড় মারে এবং তার হাতে থাকা বেলচা দিয়ে আঘাত কওে এবং বারবার আঘাত করতে উদ্যত হয়। আসিফ বাদিকে বলে এক সপ্তার মধ্যে তাদেরকে ২লাখ টাকা চাঁদা প্রদান না করলে তোকে ও তোর পরিবারকে খুন করে ফেলবে। আসামী ফিরোজ হোসেন দা নিয়ে বাদির দিকে তেড়ে আসে। অন্যান্য আসামীরা গেটের কাছে এসে বালে বাড়ি পুড়িয়ে দেবে। উক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কর্মকান্ড বাদির বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজে রেকর্ড হওয়ায় বিকাল ৫ টায় সন্ত্রাসীরা সিসি টিভিতে রেকর্ড বুঝতে পেরে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে ও খুলে নিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন এসে সন্ত্রাসীও চাঁদাবাজদের নিবৃত্ত করলে আসিফ হুমকি দিয়ে বলে অত্র বিষয় নিয়ে মামলা করলে বাদিকে খুন করে ফেলবে।
ঘটনার পর দেশে আদালত ও থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাদি মামলা করতে পারেনি। আদালতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করেন।