পাঁজিয়া সংবাদদাতা
গাছ, পরিবেশ মানুষের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলেও মানুষের নিষ্ঠুরতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। গাছে গাছে পেরেক বা তারকাঁটা ঠুকে টাঙানো হচ্ছে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। এতে সড়কের গাছগুলো পড়েছে ঝুঁকির মুখে। প্রায় সময় পেরেক ঠুকে লাগানো হচ্ছে শুভেচ্ছা ব্যানার, ছাত্রভর্তি, চিকিৎসাসেবা, বাড়িভাড়া, হারবাল ওষুধ বিক্রির বিজ্ঞাপন। যশোরের কেশবপুর উপজেলায় সড়কের পাশের গাছগুলোতে এ চিত্র হরহামেশায় দেখা মিলছে।
পৌর শহরের থানার মোড়, কলেজ গেট, পাবলিক ময়দান, হাসপাতাল মোড়-সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার রাস্তার পাশের গাছের কোনো অংশ এখন আর ফাঁকা নেই। রাস্তার পাশের গাছগুলোতে লোহার পেরেক ঠুকে টাঙানো হয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন।
রাস্তার পাশের গাছগুলোতে তাকালেই চিকিৎসক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোচিং বাণিজ্যালয় ও শুভেচ্ছা বাণীসহ বিভিন্ন ধরনের সাইনবোর্ড চোখে পড়ছে। রাস্তার পাশে গাছ থাকলেই তাতে টাঙানো হচ্ছে সাইনবোর্ড, ব্যানার কিংবা প্ল্যাকার্ড। বিনা খরচে, কোনো প্রকার বাঁধা ছাড়াই প্রাতিষ্ঠানিক পণ্যের প্রচারণার জন্য অবাধে বেছে নেয়া হচ্ছে গাছ। এতে করেন যেমন লঙ্ঘন হচ্ছে আইন তেমনি নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আর সেই সাথে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ প্রতিবেশের।
স্থানীয়রা জানান, নতুন নতুন চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠান তাদের পরিচিতি জানান দিতে এখন গাছে গাছে লোহা দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখছেন। স্কুল কলেজের সামনের গাছগুলোতেও টাঙানো হচ্ছে বিভিন্ন চিকিৎসক ও হোমিওপ্যাথিক প্রতিষ্ঠানের নারী-পুরুষের বিশেষ অঙ্গের চিকিৎসার সাইনবোর্ড। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।
কলেজ শিক্ষার্থী রুমি, প্রীতি, মুন্না, বাবুল আক্তারসহ আরো অনেকে বলেন, নারী-পুরুষের বিশেষ অঙ্গের চিকিৎসার সাইনবোর্ড সামনে দেখে বিব্রত হতে হয়। এগুলো প্রতিহত করা দরকার। এ অবস্থায় সচেতন নাগরিকদের দাবি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে গাছকে নিরাপদ রাখবেন। স্বাভাবিক রাখবেন পরিবেশ ও প্রতিবেশ।