বাংলার ভোর প্রতিবেদক
করোনাকালীন সময়ে বিদেশে বেকার হয়ে দেশে ফেরা যশোরের নারী শ্রমিকদের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা এবং আয়বৃদ্ধিমূলক দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা মুক্তি সেবা সংস্থা (কেএমএসএস) ‘রি-ইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রান্ট ওয়ার্কারস ইন বাংলাদেশ’ (আরআরএমডাব্লুবি) প্রকল্পের মাধ্যমে যশোর বাঁচতে শেখায় দুই দিনব্যাপি এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়েল আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড যশোরের সহকারী পরিচালক ফসিউল আলম এবং কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস যশোরের সহকারী পরিচালক শাহারিয়ার হোসেন। প্রশিক্ষক ছিলেন কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র যশোরের সায়েন্টিফিক অফিসার মেহেদী হাসান ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যশোরের ইন্সট্রাক্টর মো. আসাদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন খুলনা মুক্তি সেবা সংস্থার প্রজেক্ট অফিসার উৎপল রায়, ভলেন্টিয়ার অঞ্জনা পাল ও সাদিয়া আফরিন নাতাশা।
প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকিয়া সুলতানা প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করে বলেন, সুইজারল্যান্ডের আর্থিক সহায়তা (এসডিসি) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কেএমএসএস ‘রি-ইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রান্ট ওয়ার্কারস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশে ফেরা ১২শ’ মানুষকে পুনর্বাসন সাপোর্ট দেবে। করোনার সময়ে যারা বিদেশে কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছে এমন প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী শ্রমিকদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মনোসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, সৌদি আরব, জর্ডান, ওমান ও জর্ডান ফেরত ২২ নারীকে গতকাল ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা ও আয় বৃদ্ধিমূলক দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।