কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা:
মোবাইল ফোনে সর্ম্পকের পর পারিবারিকভাবে বিয়ে অতঃপর ওই প্রবাসীর নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে করেছেন ঘরবাড়ি, সোনার গহনা ও ব্যাংক ব্যালেন্স তার পরে দিয়েছেন তালাক। এ অবস্থায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন যুবক। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (৪৮) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলার লতব্দি গ্রামের বাসিন্দা।

স্ত্রী হামিদা খাতুন পাখি কোটচাঁদপুর উপজেলার লীকুন্ডু গ্রামের ওয়াজেদ আলী খানের মেয়ে। উপায় না পেয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মডেল থানায় করেছেন অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় প্রায় ৭ বছর আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহবুবুর রহমানের সাথে পাখির বোনের জামাইয়ের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এর পর প্রেমের সর্ম্পক ও পারিবাবিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। এর মধ্যে কয়েকবার মাহবুবুর রহমান দেশে আসেন। স্বামীর গ্রামের বাড়ি অনেক দূরে এবং বিদেশ থাকার সুযোগে পরকীয়ায় সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন পাখি। এরমধ্যেই হামিদা ডির্ভোস লেটার পাঠিয়েছেন মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে। কিন্তু বিদেশে থাকায় তা রিসিভ করা হয়নি।

মাহবুবুর রহমান অভিযোগে করে জানান ৭ বছরের সংসার জীবনে শ্বশুর বাড়িতে থাকার মত ঘর না থাকায় নিজ খরচে পাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় স্ত্রী পাখির নামে ১০ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন যা দিয়ে স্ত্রী হামিদা সংসারের খরচ, ঘরের আসবাব পত্র এবং স্বর্ণাংকার তৈরি করেছেন। এখন তিনি হুট করে ১৬ নভেম্বর আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আমার অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন।

আমি ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসি এবং ১৭ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুরে এসে পাখির পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং ডিভোর্স এর বিষয়ে আমি পাখির কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে কোটচাঁদপুর ছেড়ে চলে যেতে বলেন এবং এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করাসহ খুন করে লাশ গুম করে দেয়ার হুমকি দেন। পরে কোন প্রতিকার না পেয়ে ১৮ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুর মডেল থানায় হামিদা খাতুন পাখি, পাখির বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি।

অভিযুক্ত পাখির জানান ৭ বছর আগে মাহবুবুরের সাথে ৫০ হাজার টাকা দেনমহরে আমার বিয়ে হয়। গেল এক বছর যাবত আমার কোন খোজ খবর তিনি রাখেন না, সে কারণে আমি ঝিনাইদহ কোর্টে তাকে তালাক দিয়েছি। স্ত্রী হিসাবে সে আমার ভোরণপোষণ দিয়েছে এর বাইরে আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রহিম জানান আপোষ মীমাংসার জন্য বিবাদীদেরকে ডাকলে তারা হাজির না হওয়ায় বাদীকে বিচারিক আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Share.
Exit mobile version