বেনাপোল সংবাদদাতা

আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী ভারত থেকে আসা ট্রাকটিতে থাকার কথা সামুদ্রিক মাছ। কিন্তু আমদানিকৃত ওই পণ্য চালানটি পরীক্ষাকালে মিললো দামি শাড়ি ও থ্রিপিস। শনিবার রাতে চালানটি আটক করে তল্লাশি চালায় বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শনিবার রাতে ভারত থেকে আসা মাছবাহী একটি ট্রাক তল্লাশী করে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা ওই শাড়ি, থ্রিপিসের চালানে কয়েক লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দেয়া হচ্ছিল। অবৈধ এই পণ্য আনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আটক পণ্য চালানটির আমদানিকারক ঢাকার লাকি এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আনা প্রথম চালান এটি। তবে চালানটির সিএণ্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের সোনালী এজেন্সী লিমিটেডের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ পণ্য চালান ছাড় করানোর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহম্মদ শান্তর মালিকানাধীন অন্য একটি সিএণ্ডএফ এজেন্ট আলেয়া এন্টারপ্রাইজ শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় সাসপেন্ড অবস্থায় রয়েছে। একই অপরাধে ইতিপূর্বে সাসপেন্ড করা হয় সোনালী এজেন্সিও। সম্প্রতি সাসপেন্ড আদেশ প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, বন্দর ব্যবহারকারীদের একটি সূত্র জানায় বেনাপোল বন্দরে স্ক্যানিং মেশিনগুলো অচল থাকার সুযোগে কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় ভারত থেকে ফল ও মাছ আমদানির আড়ালে নিয়মিত শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছে একটি চক্র। বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে কাস্টমস কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে স্ক্যানিং মেশিনগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

Share.
Exit mobile version