রাজু আহমেদ, বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী গমনাগমনে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস ও যাত্রী টার্মিনালে বহিরাগতদের ভিড়ে যাত্রীরা নানা মুখি হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। এ সমস্যা নিরসনে কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কড়াকড়ি আরোপ করে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যাত্রীদের কাজ করে দেয়ার নাম করে এসব বহিরাগত তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগগ রয়েছে বহু।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিয়ে কিছু বহিরাগত নানামুখি হয়রানি করত। বিষয়টি কাস্টমস বিভাগের নজরে এলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে বহিরাগতরা প্রবেশ করে কোন যাত্রীকে হয়রানি করতে না পারে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে একটি চক্র প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়। এরপর ওই চক্রদের আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বেনাপোল কাস্টমস সুপার মোকলেসুর রহমান বলেন, যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানি না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে যাত্রী সেবা ও কাস্টমসের সুনাম অর্জন করতে হবে। এ জন্য বহিরাগত লোক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল হয়ে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী কাস্টমস ইমিগ্রেশনে যান। কিছু বহিরাগত লোকের প্রবেশ আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমরা কড়াকড়ি আরোপ করেছি। কোন বহিরাগত লোক যাতে ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে এবং যাত্রীদের সাথে প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য কড়াকড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
বেনাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদ হাসান বলেন, বেনাপোল যাত্রী গমনাগমনে বহিরাগতদের দ্বারা ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতে কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি শতভাগ সেবা প্রদান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাহিদ হাসান নিজে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ন রাখতে বন্দরে নিয়োজিত বেসরকারি সিকিউরিটি পিমা, আনসার ও আর্মড পুলিশ এর সদস্য দের কে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
তবে আনসার বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যরা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে টাকার বিনিময়ে লাইনের আগে লোক পার করার বিষয় টি ও চোখে পড়ে। আনসার এপিসি শিপনের নেতৃত্বে সদস্য নিজাম উদ্দিন ও রবিন্দ্রনাথকে লাইনের আগে লোক পার করার বিষয়টি দেখা যায়। এছাড়াও অনেক সময় এপিসি শিপনকে ল্যাগেজ ও কম্বল হাতে নিয়ে টার্মিনালের বাইরে আসতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদ হাসান বলেন, বিষয় টি আমার চোখে কয়েকবার পড়েছে আমি তাকে সাবধান করেছি। এর পর যদি এরকম কিছু চোখে পড়ে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।