রাজু আহমেদ বেনাপোল থেকে
বেনাপোল কাস্টমস ট্রেন পরিচালক মতিউর রহমানের কাছ থেকে ৫৯ পিস শাড়ি ও থ্রিপিস আটক করেছে। এছাড়া ওই যাত্রীর কম্বলের মধ্যে থাকা ৯ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে কাস্টমস। তবে যাত্রী ওই কম্বল তার না বলে দাবি করেন।
গতকাল বেলা ১০ টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ চলাচলকারী বন্ধন ট্রেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতার জন্য থামলে যাত্রীরা নিজ নিজ ল্যাগেজ নিয়ে ইমিগ্রেশন কাস্টমসে যান। এ সময় মতিউর রহমান ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে তাদের লাগেজ বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টারের বারান্দায় রাখেন। পরে জাতীয় গোয়েন্দ সংস্থা’র (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে রেলস্টেশন মাস্টারের অফিসের বারান্দা থেকে লাগেজ নিয়ে কাস্টমস তল্লাশি করা হলে ৫৯ পিস শাড়ি ও থ্রিপিস এবং দুটি কম্বল থেকে ৯ বোতল ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ উদ্ধার হয়। এ সময় ওই কম্বল তার নয় বলে জানান মতিউর রহমান।
কাস্টমস এআরও সেলিম জানান, কাস্টমস এবং গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য যৌথ ভাবে রেলস্টেশন মাস্টারের অফিসের বারান্দা থেকে ওই মালামাল এনে তল্লাশি করা হয়। শাড়ি ও থ্রিপিসের বিষয়টি ট্রেন পরিচালক মতিউর রহমানের বলে তিনি জানান। আর মদ ও কম্বলের দাবি তিনি অস্বীকার করেন।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, মতিউর রহমান কোলকাতা-খুলনা ট্রেনের একজন পরিচালক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলপিআরে গেছেন। এ পথে ভারত থেকে ট্রেনে করে বিভিন্ন পণ্য আনা সম্পর্কে তার আগে থেকে জানা ছিল। হয়ত সেই কারণে তিনি এতগুলো শাড়ি, থ্রিপিস এনেছেন। তা নাহলে একটি পরিবারের এতগুলো পণ্য লাগার কথা নয়। এ সময় তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেও সাথে ছিল।
মতিউর রহমান বলেন, আমি এর আগে এ পথে কোন পণ্য আনিনি। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে প্রথমবার এই পণ্য নিয়ে এসেছি। বর্তমানে আমি চাকরিতে নেই। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।