বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বেনাপোল বন্দরের ইন্টারনেট সার্ভার আপডেট না থাকায় সোমবার ৯ ঘণ্টা ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে বন্ধ ছিল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। এতে স্থবিরতা নামে বাণিজ্যে। পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে না পারায় শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহতের পাশাপাশি আটকে থাকা ট্রাকে লোকশানের কবলে পড়ে ব্যবসায়ীরা। সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশ করেনি এবং ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক আসেনি বেনাপোল বন্দরে। পরে সার্ভার সচলে বিকাল ৫টার পর থেকে বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়।
বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের। প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি বাণিজ্য ও ৮ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি রফতানি বাণিজ্য হয়। বছরে বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি বাণিজ্যে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার বড় একটি অংশ শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস ও শিশুখাদ্য রয়েছে। এদেশ থেকে রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব ও মাছসহ বিভিন্ন প্রকারের পণ্য। গেল দুই বছর করোনার কারণে চাহিদামতো পণ্য আমদানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এখন চাহিদা বেড়েছে। পূর্বে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের আগে গেটপাস হাতো এনালগ প্রক্রিয়ায় হাতে কলমে। পরে বাণিজ্যে আধুনিকতা আনতে অনলাইনে গেটপাস এন্ট্রি চালু করে কাস্টমস ও বন্দর। কদিন আগে কাস্টমস তাদের সার্ভার আপডেট করে। কিন্তু আপডেটের বিষয়টি বন্দর কাস্টমসের মধ্যে সমন্বয় না হওয়ায় বন্দর সার্ভার আপডেট করতে বিলম্ব হয়। এতে কাস্টমস আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রাখে।
এদিকে, আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্য নেয়নি। এতে বন্ধ হয়ে পড়েছিল রফতানি কার্যক্রম।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্র্যাফিক) সজিব নাজির জানান, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যদি সার্ভার আপডেটের তথ্য আগে তাদের জানাতেন তবে তারা আরো আগে আপডেট করতে পারতেন। চিঠি পাওয়ার পর বন্দর সার্ভার আপডেটের কাজ শুরু করে। পরে বিকাল থেকে আবারও বাণিজ্য শুরু হয়।