বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে টার্মিনালের গ্লাস ভেঙে পড়ে আব্দুল আলিম নামে এক আর্মড পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বুধবার বন্দরের যাত্রী টার্মিনালের গেটে এ ঘটনা ঘটে।
বন্দরের আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র বলেন, ‘বুধবার ঈদ–পরবর্তী যাত্রীর চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। ৮ হাজার ১১ জন যাত্রী বন্দর ব্যবহার করেছেন। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বন্দরের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সকালে হঠাৎ বৃষ্টি নামলে যাত্রীরা বন্দরের বারান্দায় উঠে আসে। ‘এতে যাত্রীদের ধাক্কাধাক্কিতে বন্দরের গ্লাস ভেঙে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ সদস্যের গায়ে পড়ে। এতে তিনি জখম হন। পরে তাকে অন্য সহকর্মীরা উদ্ধার করে ক্লিনিকে নিয়ে যান। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে বিজিবি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী সহযোগিতা করে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহার ইসলাম বলেন, ‘গত ১৩ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে যাতায়াত করেছে ৪৮ হাজার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে ভারতে গেছে ৩৪ হাজার ১১৪ জন এবং ভারত থেকে ফিরেছে ১৪ হাজার ৬৪৪ জন। আরও কয়েক দিন থাকবে এ চাপ। যাত্রীসেবা বাড়াতে নানান পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। ভারত অংশের ইমিগ্রেশনে ও সেবা বৃদ্ধির অনুরোধ রাখা হয়েছে।’
বন্দরের যাত্রী রাকেশ বিশ্বাস বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৩টায় বাস থেকে নেমে বন্দরের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। যাত্রী ছাউনি না থাকায় রোদ, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। এতে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হয়ে হয়। দিন দিন ভ্রমণ করের অর্থ বাড়লেও সেবার মান বাড়েনি।’ রহিম নামে অপর এক যাত্রী বলেন, ‘এখন দুই পাড়ে ইমিগ্রেশন সারতে পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’
বন্দরের টার্মিনালের ইনচার্জ নাহিদউজ্জামান বলেন, ‘এটা ভিত্তিহীন খবর। যাত্রীর চাপ বাড়লে পরিস্থিতি সামাল দিতে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা হয়তো ঘটতে পারে। যাত্রীর চাপে এক আর্মড পুলিশ সদস্যের ওপর গ্লাস ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন। যাত্রীদের সেবা আরও বাড়াতে বন্দরে যাত্রীছাউনির জন্য নতুন জায়গা অধিগ্রহণে কাজ চলেছে।’