বেনাপোল থেকে রাজু আহমেদ,
বাজারদর নিয়ন্ত্রণে দুই দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। চাল, ডাল, গম, ডিম, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সরকার আলু আমদানিরও অনুমতি দেয়।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে দুই দিনে মোট ৪০০ টন আলু নিয়ে ১৬টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২ ডিসেম্বর ৩ টি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি হয়েছিল। এরপর আর আলু আমদানি হয়নি।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪০০ টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার। আলুর চালানটি আজ খালাস হবে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, বন্দরে ভারত থেকে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকের পক্ষে প্রযোজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই চালানে ৪০০ টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনও বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।