বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শার পাকশিয়া বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সবুজকে (৩০) দোকান থেকে তুলে নিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাকে শ্রেফ হয়রানি ও সম্মানহানির জন্য মঙ্গলবার রাজনৈতিক মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হাবিবুর রহমান সবুজ শালকোনা গ্রামের বাসিন্দা।
সূত্র মতে, হাবিবুর রহমান সবুজ শার্শার পাকশিয়া বাজারে কাপড়ের দোকানদার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার দোকানে বেচাকেনা করছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ তার দোকানে গিয়ে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে প্রথমে গোড়পাড়া ফাঁড়ি ও পরে শার্শা থানায় নেয়। পরিবারের পক্ষ থেকে ভাই তবিবর রহমান পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি এজাহারভুক্ত কোন আসামি নয়। তাকে সন্দেহমূলক ডাকা হয়েছে। পরদিন সকালে একটি রাজনৈতিক মামলায় আটক দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অথচ হাবিবুর রহমান সবুজ কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। কোন পদেও নেই। শার্শার পান্তাপাড়ার যে ঘটনায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে সেটা তার বাড়ি থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে।
শার্শা থানার এসআই হয়রত আলী যিনি ওই মামলার তদন্তে রয়েছেন তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ কিভাবে চলছে বোঝেন তো। আমাদের কিছুই করার নেই।
হাবিবুর রহমান সবুজকে আটকের পর থেকে তার ভাই তবিবর রহমান শার্শার ওসি আব্দুল আলিম, এসআই হয়রত এবং গোড়পাড়া ফাঁড়ির এসআই জামিউরের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু হাবিবুর রহমান সবুজ এজাহারভুক্ত আসামি না হলেও তাকে রাজনৈতিক মামলায় আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান সবুজকে আটক করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকশিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী ইমামুল হোসেন বলেন, হাবিবুর রহমান সবুজ নিরীহ মানুষ। ব্যবসা করেন। তাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার দেখানো দুঃখজনক।
অন্যদিকে, যে রাজনৈতিক সংগঠনের কথা বলা হচ্ছে শার্শা উপজেলা ও ডিহি ইউনিয়নে তার কমিটি নেই বহু বছর।
আওয়ামী লীগের কোন্দলকে কেন্দ্র করে সেই সংগঠনের কমিটি দেয়া হয়নি অন্তত ৮ বছর। অথচ পুলিশ তাকে আজগুবিভাবে কমিটির যুগ্ম সম্পাদক উল্লেখ করেছে। এটা স্রেফ হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বলে সচেতনমহল মনে করছেন।
