মহেশপুর সংবাদদাতা
নিজেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে বুঝতে পেরে যেতে না চাওয়ায় ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে নিয়ে আসা একনারীকে নির্যাতন করেছেন পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। এসময় ওই নারীর চিৎকার ও কান্নার শব্দে মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের পলিয়ানপুর সীমান্তের ভুট্টাখেতের ভিতর থেকে তাকে উদ্ধার করেন বিজিবির সদস্যরা। এঘটনায় সোমবার ঢাকা শনিরআখড়ার সানজিদা শিল্পি (৩৪) ও যাত্রাবাড়ীয় আয়শা বেগমের (২৫) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে আসামী করে মহেশপুর থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
মামলার বিবরণে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, আসামি আয়শা বেগম সাথে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পাশাপাশি করেন। সেই সুবাদে ওই নারীকে ভারতে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখান। প্রথমে তিনি ভারতে যেতে না চাইলেও দুই আসামীর প্রলোভনে পরে তিনি রাজি হন। পরে গত মাসের ২৫ এপ্রিল বিকেলে আসামি আয়শা বেগম ওই নারীকে নিয়ে মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নেপার মোড়ে আসেন। আগে থেকেই ওই স্থানে অজ্ঞাত আরো দুই দালাল চক্রের সদস্য মটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আয়শা বেগম ওই নারীকে দালাল হাতে তুলে দিয়ে ওই খান থেকে পালিয়ে যান। রাতে ওই নারী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের হাতে জিম্মি হয়েছেন। যে কারণে তিনি ভারতে অস্বকৃতি জানালে দালাল চক্রের সদস্যরা তাকে মারধর ও নির্যাতন করেন। পরের দিন সকালে ওই নারীর ডাক চিৎকারে উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তের ভুট্টাখেতের ভিতর থেকে বিজিবির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন। এসময় দালালরা পালিয়ে যান। এরপর বিজিবি জাস্টিস এণ্ড কেয়ারের কাছে হাস্তান্তর করলে সোমবার মহেশপুর থানায় ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমাকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে বুঝতে পেরে যেতে না চাইলে দালালরা আমাকে রাতভর বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছেন। পরে আমার চিৎকারে বিজিবির সদস্যরা উদ্ধার করেন।
মহেশপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে। খুবই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।