সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরায় ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা গাঢাকা দিয়েছেন। এতে করে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যক্রমে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে গঠিত ৯ সদস্যের ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লগি নেতা কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান। এই কমিটি দায়িত্ব নিয়েই শুরু করেন চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম।
এতে করে একপ্রকার জিম্মি হয়ে পড়েন বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা ভারত থেকে আমদানিকৃত গাড়ি প্রতি ভারতীয় দুইশ’ রুপি চাঁদা আদায়, গাড়ি পার্কিং থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দফায় দফায় চাঁদা আদায় করা হয়েছে। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের করা হয়েছে নানাভাবে হয়রানি নির্যাতন।
গত ৫ আগস্ট প্রধ শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই ওইসব দখলবাজ নেতারা গা ঢাকা দেন। এর ফলে ব্যবসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সংগঠনের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
ক্ষতির মুখে পড়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সাধারণ ব্যবসায়ীরা গত ৭ আগস্ট বিশেষ এক জরুরি সভার আহ্বান করে সর্বসম্মতিক্রমে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে।
এতে সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবকে আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মুন্সী রাইসুল হক টুকু, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু ও ভোমরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুর রহমান আসাদকে সদস্য করে পাঁচ সদস্যের এই আহবায়ক কমিটি করা হয়।
এর পর থেকে বন্দরে আবারও বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠন গুলো নির্বিঘ্নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা অবৈধ নিবার্চন বিহীন দখলি কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।