মণিরামপুর সংবাদদাতা
যশোরের মণিরামপুরে ঘোষিত ছাত্র প্রতিনিধির তালিকায় ত্যাগিদের ঠাঁই মেলেনি। যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি বলে একটি অংশের অভিযোগ। প্রতিবাদে ঘোষিত কমিটি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহারসহ বিতর্কিত তালিকা প্রণয়নে জড়িতদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে যারা অগ্রভাগে থেকে লড়াই-সংগ্রাম ও সংগঠনের জন্য অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যয় করেছেন, তাদের রাখা হয়নি বলে ওই অংশটির অভিযোগ। প্রতিবাদে পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিক্ষুব্ধ পক্ষটি।
রোববার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিক্ষুব্ধ অংশের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সার্জিন হাসান ফাহিম। তিনি বলেন, তারা জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের প্রথম থেকেই সরব ছিলেন। এ কারনে ২৪’র ১৯ জুলাই উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে তাদের ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় পণ্ড হয়। এদিন বিকেলে মণিরামপুর সরকারি কলেজের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশগ্রহণকারিরা ওই নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে মারপিটের শিকার হন।
তিনি আরো বলেন, এই অযৌক্তিক প্রতিনিধি তালিকা ঘোষণার মাধ্যমে আন্দোলনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও ন্যায়সংগত দাবিকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রতিনিধি তালিকা পুনর্গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত সংগ্রামকারীদের স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকৃত সংগ্রামকারীদের সম্মান প্রদানের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের মূল চেতনা ও আদর্শ বজায় থাকবে বলে তারা মনে করেন। এ সময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ অংশটি জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রাশেদ খান, ফাহিম আল ফাত্তাহ, লিখন, তানভির সংগ্রাম, দেবব্রত বিশ্বাস, সোহানুর রহমান সোহাগ, সোহেল রানা সহ যারা এই বিতর্কিত তালিকা প্রণয়নে জড়িতদের মণিরামপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
পরে বিক্ষুব্ধ এই অংশটি পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। উপস্থিত ছিলেন সার্জিন হাসান ফাহিন, মেহেদি হাসান অনিক, মাসুম বিল্লাহ সজীব, ফয়সাল হোসেন, অভি হাসানসহ প্রায় অর্ধশত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী।