রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের পানিছত্র গ্রামে হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারী ভাবে বাথরুম প্রদান করা হয়েছে। ঐ বাথরুমের কাজ করার জন্য একই গ্রামের বজলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সাব-ঠিকাদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু বজলুর রহমান বাথরুম প্রাপ্তদের কাছ থেকে ১০থেকে ১৬হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। জানা যায়, প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় দুস্তদের মাঝে স্বল্পমূল্যে বাথরুম প্রদান করেন। কিন্তু এই বজলুর রহমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ করার সুবাদে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভালো সখ্যতা গড়ে উঠায় তিনি বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে সরকারি বাথরুম দেওয়ার জন্য ১০ থেকে ১৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তবে মণিরামপুর উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবিষয়ে কিছু জানেন না এবং অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেলেই সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে পানিছত্র গ্রামের একাধিক সুবিধাভোগীদের সাথে কথা হলে তারা সাব-কন্ট্রাক্টার বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ৩৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০ থেকে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে একটি বাথরুম দিয়েছে।
এছাড়াও দুস্তদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বাথরুম তিনি ধনাঢ্য পরিবারের মাঝেও বিতারন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে বজলুল রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে একাধিকবার জানার চেষ্টা করলেও সে বিষয়ে কথা বলতে চায়নি। চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন,সাব-কন্ট্রাক্টার বজলু যদি দূর্নীতি করে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই অন্যায় করেছে। আমি বিষয়টি নিশ্চিত হলে তার ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণে সুপারিশ করবো।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা দেব কুমার মন্ডল বলেন,বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আগেও পেয়েছি। তবে সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আপনারা যে অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ সত্যতা পাওয়া গেলে আই