বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মণিরামপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে ধর্ষণকারীরা। দাবিকৃত অর্থ না পেয়ে পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন। এ ঘটনায় শুক্রবার মণিরামপুর থানায় গণধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়েরের পর জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার খোষালনগর গ্রামের কার্তিক বিশ্বাসের ছেলে প্রান্ত বিশ্বাস (২২), মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের ফজর গাজীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২২) ও একই উপজেলার কোমলপুর গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে শাওন হোসেন (১৯)।
জানা যায়, আটক আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসে। আসার পর থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২৭ জুন রাতে ফুঁসলিয়ে উপজেলার ঝাঁপা বাজারের একটি ঘরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগীকে জোর করে ধূমপান করায়। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর ঝিমুনি আসলে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় ওই পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করা হয়। এরপর ধারণকৃত ভিডিও নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে পাঠিয়ে টাকা দাবি করে। দাবিকৃত অর্থ না দিয়ে ইন্টারনেটে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। এরপর টাকা না দেয়ায় ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় তারা। এক পর্যায়ে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর দাদী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ বিশ্বাস ও উপ পরিদর্শক আতিকুজ্জামানসহ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।