বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মণিরামপুর গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলনের ৩ দিন পর এবার পাল্টা অভিযোগ তুললেন খানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। রোববার প্রেসক্লাব যশোরের আরএম সাইফুল আলম মুকুল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে গত ৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে তার ও এমপি ইয়াকুব আলীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খন্ডন করে খোদ অধ্যক্ষ রেজাউল করীমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুললেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ রেজাউল করীম প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকাবস্থায় যে দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন সেটি আড়াল করার জন্যই গত ৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে আমাকে ও এমপির ভাই ওয়ালিউর রহমানকে নিয়ে অবান্তর অভিযোগ তুলেছেন। অথচ তারা যে অভিযোগ করেছেন তার সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, ৩ এপ্রিল গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজে যে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে সেটি এলাকার মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। অথচ এ ঘটনায় আমাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
মূলত অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বিগত এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্যেও একান্ত অনুগত। স্বপন ভট্টাচার্যের স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য ওই প্রতিষ্ঠানের এখনো সভাপতি। এ কারণে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর ছত্রছায়ায় থেকে সে একের পর এক দুর্নীতি কওের চলেছেন। এ পর্যন্ত ১২ জনশিক্ষ/কর্মচারী নিয়োগে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তার আমলেই ২০১২ সালের জুলাই মাসে শাহীন আলম নামে এক শিক্ষককে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ওই শিক্ষকের বেতন করে দেয়ার নামে আরও ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অধ্যক্ষ তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়িয়ে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ রেজাউল করীম একই সাথে উপজেলার নেংগুড়াহাট স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। যা বিধি সম্মত নয়। অভিযোগ রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানে ৭ জনশিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগে ৯৫ লক্ষ টাকা বাণিজ্যে করেছেন তিনি। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায়।
সংবাদ সম্মেলনে মণিরামপুর আসনের এমপি ইয়াকুব আলীর ভাই ওয়ালিউর রহমান, চালুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।