বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুর থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও গ্লাস ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বহিস্কৃত ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে থানার প্রধান ফটকে ওসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের সময় মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই মারপিটের শিকার পুলিশ সদস্য শেখর দত্ত বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলায় মাকসুদুল আলম রোহান ও কামরুল ইসলাম নামে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোহানকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার রোহান মনিরামপুর পৌর এলাকার মোহনপুর ওয়ার্ড ছাত্রদলের বহিস্কৃত সভাপতি। মামলার অন্য আসামি কামরুল ইসলাম পৌর এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী।
মাদকসহ ৪ আসামি ধরে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগসহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে মণিরামপুর থানার ওসিসহ কয়েকজন উপপরিদর্শকের (এসআই) অপসারণ দাবি করে রোববার বিকেলে মণিরামপুর থানার ফটকে বিক্ষোভ করে মণিরামপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুসহ দলের অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
থানা ঘেরাওকালে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, মণিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের ধরে আনছেন ঠিকই। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি তাদের আদালতে সোপর্দ না করে থানা থেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন। তাদের দাবি, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ধরে এনে সাজানো মামলায় হাজতে পাঠানো হতো। চালানো হতো অকথ্য নির্যাতন। সে সময় পুলিশের নির্বিচার চাঁদাবাজির ভয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী বাড়ি তো দূরের কথা আশপাশের এলাকায়ও থাকতে পারেননি। এখন দাগী অপরাধী হওয়ার পরও তাদেরকে ছেড়ে দেয়া ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতার নামান্তর। এদিকে বিক্ষোভের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা থানার ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য শেখর দত্তকে মারপিট করাসহ থানার ফটকের একটি কক্ষের গ্লাস ভাংচুর করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আসাদুজ্জামান মিন্টুর নেতৃত্বে বিএনপির কিছু অনুসারী থানার সামনে এসে বন্ধ ফটক ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য শেখর চন্দ্র তাদের থামাতে চাইলে তিনি মারপিটের শিকার হন। এ সময় ফটকের সামনে অবস্থান করা কয়েকজন থানা ফটকের পাশের একটি কক্ষের জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। এই বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়েছে। তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় একজন গ্রেফতার হয়েছে।