মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, কেশবপুর
কেশবপুরে পশুহাটের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে গরু-ছাগল বেঁচাকেনা করছেন। হাটে বড় বড় মরা গাছের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে ঐ আতঙ্ক।
পশুহাটে গিয়ে দেখা গেছে খুলনা বিভাগের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর পশুহাট হিসেবে পরিচিত এই হাটে গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, দীর্ঘদিনের পৌর কর্তৃপক্ষ হাট এলাকার মরা গাছ অপসারণ না করায় সেগুলি যেকোন সময় বেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মরা গাছ অপসারণ না করায় হাটে পশু বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীদের ভেতর তীব্র আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। হাট কর্তৃপক্ষকে মরা গাছ সম্পর্কে অবহিত করেও হাট ইজারাদার কোন সুরহা পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
কেশবপুর পৌরসভা পশুহাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের মাইকেল গেটের পাশে আনুমানিক ৮ বিঘা জমির উপর এ পশুহাটটি অবস্থিত।
প্রতি সপ্তাহের সোম ও বুধবারে এখানে পশুহাট বসে, দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর এ হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু-ছাগল বেচাকেনা করার জন্য হাজারও ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। হাটের ভেতরে থাকা বড় বড় অন্তত ১৭টি শিশু (রেইনট্রি) গাছ দীর্ঘদিন ধরে মারা গিয়ে ঝু৭কিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা উপজেলার লক্ষীনাথকাটি গ্রামের ব্যাপারি বাবুল আক্তার বলেন, একটু বাতাস হলেই মরা গাছের ছোট ছোট ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে। ভয়ে অনেকেই এ হাটে এখন গরু-ছাগল বিক্রি করতে আনে না। যারা গরু-ছাগল নিয়ে আসে তারাও মরা গাছের কারণে পশু নিয়ে আতঙ্কে থাকে। হাটে গরু বিক্রি করতে আসা উপজেলার বায়সা গ্রামের মশিয়ার সরদার বলেন, সম্প্রতি মরা গাছের একটা ডাল ভেঙ্গে হাটের ভেতরে থাকা বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাটুরেরা।
গরু কিনতে আসা পাশের মনিরামপুর উপজেলার বিল্লাল হোসেন বলেন, একবার হাটের পাশঘরের ছাদের উপর নামাজ পড়ার সময় ডাল ভেঙ্গে পড়েছে, অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।
একই উপজেলার ত্রিপুরাপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, কখন ডাল ভেঙ্গে পড়ে, কখন কি হয় এ ধরনের আতঙ্ক নিয়ে আমাদের হাটের ভেতর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়।
এ ব্যাপারে কেশবপুর পৌরসভা পশুহাট মালিক ইকবাল হোসেন তোতা বলেন, হাটে থাকা আনুমানিক ১৭টি মরা শিশু (রেইনট্রি) গাছ অপসারণের জন্য পৌর মেয়রসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন সুরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, পশুহাটের মরা গাছ অপসারণের বিষয়ে জেলা সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলেই গাছ অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।