রাজনীতির মাঠে যারা শিকড় থেকে উঠে আসেন, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে পারেন, তারাই প্রকৃত পরিবর্তনের কারিগর। মশিউর রহমান যাদু সেই বিরল নেতাদের একজন, যিনি ওয়ার্ড পর্যায়ের রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন অদম্য সংগ্রাম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে। তাঁর জীবন ও সংগ্রাম তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি গঠনমূলক দৃষ্টান্ত যা প্রমাণ করে, সঠিক নেতৃত্ব ও আদর্শিক চেতনা দিয়ে সমাজ বদলে দেওয়া সম্ভব।
যাদু বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ ধারণ করে অবিচল পথচলায় দারুণ আত্মবিশ্বাসী।
শিকড় থেকে শিখর:
স্থানীয় রাজনীতির মজবুত ভিত্তির ওপর
যাদুর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রদের কর্মী থেকে। স্থানীয় সমস্যা, মানুষের দুঃখ-কষ্ট এবং যুবসমাজের আকাঙ্ক্ষাকে তিনি গভীরভাবে বুঝতে পেরেছিলেন বলেই পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর পদচারণা এতটা প্রভাবশালী হয়।
ছাত্র রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা-
২০০৪ সালে সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের জি.এস. নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার উন্নয়ন ও ছাত্র অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবং পরবর্তীতে খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে।
এর জন্য তাকে মৃত্যু ঝুঁকি পর্যন্ত নিতে হয়েছে। অসংখ্য বার হামলা, মামলা, কারাবরণের শিকার হয়েছে। তবু ফ্যা/সি/ষ্টরা তাকে দমাতে পারেনি। বরং প্রতিবারই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে রাজপথে আরো বেশি সোচ্চার হয়েছে এটি প্রমানিত সত্য।
জাতীয় রাজনীতিতে উত্তরণ: দায়িত্বশীল ভূমিকা:
২০২২ সালে তিনি খুলনা জেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, হিসেবে মনোনীত হন, যা তাঁর নেতৃত্বগুণকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
২০২৩ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, মশিউর রহমান যাদুকে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেন।
এটি প্রমাণ করে, কিভাবে একজন নিষ্ঠাবান কর্মী ধাপে ধাপে জাতীয় পর্যায়ে নিজের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারে।
গঠনমূলক তরুণ প্রজন্ম গড়ার বার্তা-
মশিউর রহমান যাদুর জীবন থেকে তরুণরা যা শিখতে পারে:
♦স্থানীয় পর্যায় থেকে কাজ শুরু করা: বড় পরিবর্তনের জন্য শক্ত ভিত্তি প্রয়োজন।
♦ শিক্ষা ও সংগঠনের গুরুত্ব: ছাত্র রাজনীতি শুধু আন্দোলন নয়, নেতৃত্ব বিকাশের হাতিয়ার।
♦ দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা:
প্রতিটি স্তরে সততা ও কর্তব্যপরায়ণতা নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
♦ ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার:
তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে তাঁর সম্পৃক্ততা তরুণদের জন্য একটি দিকনির্দেশনা।
পর্দার আড়ালে আন্দোলনের কলাকৌশল তাকে আরো বেশি গ্রহনযোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
★ আজকের তরুণই আগামীর নেতা
যাদুর মতো নেতারা প্রমাণ করেন, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়—এটি একটি আদর্শিক সংগ্রাম। যেখানে তরুণরাই পারে ইতিবাচক পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হতে। তাঁর পথচলা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করুক সঠিক নেতৃত্ব দেওয়ার, সংগঠিত হওয়ার এবং দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখার।
নেতৃত্ব মানে শুধু কথা নয়, কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন।
—মশিউর রহমান যাদুর সংগ্রামী জীবন এই সত্যই প্রতিষ্ঠিত করে।
কোন অন্যায়, নির্যাতন, নিপিড়ন, হামলা, মামলা, কারাগার এই সংগ্রামীকে থামাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও কোন অন্যায়ের সাথে তাকে আপোষ করানো সম্ভব না! যাদু তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী ও সংকল্প বদ্ধ।
একজন যাদু একদিনে তৈরি হয় না। দলের প্রতি আনুগত্য, ন্যায়পরায়ন, পরিশ্রম ও সততা মিলে একজন মশিউর রহমান যাদু তৈরি হয়।
মশিউর রহমান যাদু তারুণ্যের রাজনৈতিক অভিভাবক জনাব তারেক রহমানের এক যুগান্তকারী সৃষ্টি।