বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন মনিরামপুর উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১ জনপ্রতিনিধি। পলাতক থাকায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।
সাধারণ মানুষ এবং যথাসময়ে পাচ্ছেন না জন্মসনদ, মৃত্যু নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য সনদ ও প্রত্যয়নপত্র। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত সমর্থিত এক ইউপি মেম্বারকে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের কাছে নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দিয়েছেন।
ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর আমীর মাওলানা নজরুল ইসলামের সাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মশ্বিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন পলাতক। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১২ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ১১ জনই আওয়ামী লীগের সমর্থিত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন।
আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, সরকারি ফিসের অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের অপকর্ম করেছেন। ফলে রাজনীতির পটপরিবর্তনে জনগণের জনরোষের ভয়ে তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাগ্রহীতারা। এমতাবস্থায় একজন প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ করা জরুরি। জামায়াত সমর্থিত ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন জমাদ্দারকে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া দাবি জানান ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের জেলা সুরা সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, মনিরামপুর থাসা সূরা সদস্য মাওলানা সেলিম জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আসিনুর রহমান প্রমুখ।