খাজুরা সংবাদদাতা
বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় তৌহিদী জনতার ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে শ’ শ’ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিন বিকেল মির্জাপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ ও আইম্মা পরিষদের যশোর জেলা সহসভাপতি মাওলানা নাজমুল হুদা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খাজুরা সাংগঠনিক থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মাহমুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বাঘারপাড়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা আব্দুর রশিদ, খাজুরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা মনিরুল ইসলাম, খাজুরা ইসলামিয়া ফাজিল (স্নাতক) মাদরাসার অধ্যক্ষ এখলাছ উদ্দিন, দর্গাহপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফিরোজুল ইসলাম প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে আজ। কারণ মুসলিমরা তা নবীজিকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। অবিলম্বে হিন্দু ধর্মের ওই ছেলেকে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলন হবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়।
সমাবেশ শেষে কলেজ মাঠ থেকে একটি মিছিল বারীনগর ভাটারআমতলা বাজার প্রদক্ষিণ করে। পুলিশ ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি শেষ হয়।
উল্লেখ্য রোববার বিকেলে উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের বিধান বিশ্বাসের ছেলে বাধন বিশ্বাস (১৯) তার ফেসবুক আইডি থেকে মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র করে একটি পোস্টে কমেন্ট করেন। এদিন বিকেলে সেই কমেন্টের স্ক্রিনশর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় ছাত্র-জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে বাধনের বাড়ি ঘেরাও করে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ পলাতক ওই তরুণের বিচারের আশ্বাস দেন। এ সময় উত্তেজিত ছাত্র-জনতা বাধনকে আটক করতে পুলিশকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তার বাড়ি ছাড়েন। এ ঘটনায় রাতেই ওই কটুক্তিকারীর বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আব্দুর রহমান নামে এক যুবক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলিম জানান, অভিযুক্ত পলাতক থাকায় এখনো আটক করা যায়নি। রোববার রাতভর অভিযান চলেছে। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানান ওসি।