বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। যশোর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জেনারেল হাসপাতালের নার্সদের উদ্যোগে বুধবার বেলা ১১টায় হাসপাতাল চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। দাবি পূরণ না হলে অব্যহত কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
যশোর নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কলেজের নাসিং ইনস্ট্রক্টর ইনচার্জ আরজিনা খাতুন জানান, বিভিন্ন দাবি নিয়ে নার্সরা সোমবার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সে সময় মহাপরিচালক তাদের সঙ্গে ‘বাজে আচরণ’ করেন। তিনি বলেন, নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া সরকারের ‘ভুল’ ছিল। ‘তিনি আমাদের নিয়ে, আমাদের পেশা নিয়ে অবমাননাকর কথা বলেছেন। প্রথম দিনে তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। অতি দ্রুত মহাপরিচালক মাকসুরা নূর পদত্যাগ না করলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নাসিং ইনস্ট্রক্টর শরমিন সুলতানা পারভিন বলেন, নার্সদের বদলি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গেলে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের সঙ্গে অপেশাদার দায়িত্ব সুলভ আচরণ করেন। একই সাথে তাদের পেশাকে অপমান করেন। মহাপরিচালক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
নাসিং ইনস্ট্রক্টর স্বপ্না বিশ্বাস বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হয়ে নার্সদের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না, তাই অনতিবিলম্বে তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে অবশ্যই সমগ্র নার্স জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনকি মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
নাসিং ইনস্ট্রক্টর মমতাজ বেগম বলেন, মহাপরিচালক বক্তব্যে নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে যা নার্সিং সমাজকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে। তিনি ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করলে সারাদেশে নার্স সমাজ কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হবে। অতি দ্রুত পদত্যাগ না করলে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীও জেনারলে হাসপাতলে ক্লাস বর্জন ও কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে শতাধিক নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।