মহেশপুর সংবাদদাতা
মহেশপুরের বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বহিস্কারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভৈরবা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ৯ জনকে গুরুত্বর অবস্থায় মহেশপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে এদের মধ্যে ৩জনকে গুরুত্বর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতরা হলেন, কুলতলা গ্রামের আসাদুজ্জামান, ভাষাণপোতা গ্রামের সামাউল, কাতুব আলী, ভৈরবা গ্রামের পল্লব, ভালাইপুর গ্রামের হাসানুজ্জামান খান, পাতিবিলা গ্রামের মোস্তফা ও শান্ত।
জানা গেছে, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুজানুর রহমান সুজাকে বহিস্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করছিলেন সভাপতি গ্রুপের সমর্থকরা। এ সময় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দু’ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু’গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আনেন।
সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি সুজানুর রহমান সুজা বলেন, গত বুধবার কোন নোটিশ ছাড়াই উপজেলা বিএনপি আমাকে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বহিস্কার করেন। এর প্রতিবাদে নিজ কর্মী সমর্থক নিয়ে ভৈরবা বাজারে মানববন্ধন করছিলাম। এ সময় ১২ ইউনিয়ন থেকে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আমার সমর্থকদের উপর ইট পাটকেল মারলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংষর্ঘে আমার ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছি। কিছুক্ষণ আগে শুনলাম ভৈরবা বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পর্যন্ত সংঘর্ষের কারণ জানতে পারিনি।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ভৈরবা বাজারে বিএনপির দু’গ্রপের সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। দু’ গ্রপের কেউই এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেননি।