মাগুরা সংবাদদাতা
মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
সাক্ষ্য দিয়েছেন মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেলের তিনজন চিকিৎসক, যারা শিশুটির চিকিৎসা করেছিলেন। আগামী ৪ মে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মোট সাক্ষী ৩৭ জন।
এর আগে সকালেই ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে মাগুরায় আনা হয় হিটু শেখসহ সব আসামিকে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সাংবাদিকদের জানান, শিশুটির চিকিৎসা চলাকালে যেসব মেডিকেল এক্সপার্ট ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনজন আজ সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা তাদের কাগজপত্র জমাও দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও যারা আছেন তারা সাক্ষ্য দেবেন।
মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মামলার রায় আগামী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে যেন হয়, সেভাবেই আগাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি প্রতিদিন আদালতে আসার সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যা বলছেন, তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয়।’
২৩ এপ্রিল মামলার চার আসামি-শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। শিশুটির বোনের শ্বশুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (২) ধারায় (ধর্ষণের ফলে মৃত্যু) অভিযোগ। অন্যদিকে বোনের স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশে (ভয়ভীতি প্রদর্শন) এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় (অপরাধের আলামত নষ্ট) অভিযোগ আনা হয়েছে। মাগুরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন সোহেল আহম্মেদ।
এর আগে গত ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সে মারা যায়। এ ঘটনায় ৮ মার্চ শিশুটির মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন।